Inflation – Food Prices Increased: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) এর যে বিষয়ে আশঙ্কা ছিল তাই হল। গত মাসেই দেখা গেছে মুদ্রাস্ফীতি। খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়েছে হুহু করে। এর কারণে গত তিন মাসের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি খুব দ্রুত বেড়েছে নভেম্বরে। অক্টোবর মাসে বার্ষিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ যা গত মাসে বেড়ে ৫.৫৫ শতাংশ হয়েছে। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পুরো নিবন্ধটি পড়ুন।
বাড়ল খাদ্য দ্রব্যের দাম
RBI এর আগে থেকে আশঙ্কা ছিল যে দ্রুত বাড়তে পারে। বার্ষিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কত নভেম্বর মাসে। অক্টোবর মাসে ১০.৫৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্য শস্যের, ২২.৭৬ শতাংশে রান্নার মসলার, ১৮.৭৯ শতাংশ বেড়েছে ডালের, ৯.৩৪ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ফলের দামের এবং সবজির ২.৭৯ শতাংশ দম বেড়েছে। এছাড়াও নভেম্বর মাসেও খাদ্যদ্রব্যের উপর উচ্চ মূল্য বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, এবং আরবিআই এর মতে ডিসেম্বর মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম এইভাবেই বাড়বে।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নভেম্বরে ২১.৫৫ শতাংশ মসলার দাম, ১০.২৭ শতাংশ খাদ্য শস্যের দাম, ১৭.৭ শতাংশ সবজির দাম, ১০.২৩ শতাংশ ডালের দাম এবং ফলের দাম ১০.৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষের মুখে অবশেষে কমল সোনার দাম! কম টাকায় কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করুন।
দেখাযাচ্ছে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি
খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। বার্ষিক খুচরা মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবর মাসে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৪.৮৭ শতাংশ, যা গত নভেম্বরে পৌঁছেছে ৫.৫৫ শতাংশে। গত মাসে খুব উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছে। তবে ৫.৭০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ছিল রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের জরিপ অনুযায়ী, যার তুলনায় এটি এখনো কম।
সামগ্রিক কনজিউমার বাস্কেটের মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির প্রায় অর্ধেকেরও কম। মূল মুদ্রাস্ফীতির সংখ্যা প্রকাশ করেনি ভারত সরকার। শোনা যাচ্ছে যে, চলতি বছরের অক্টোবরে ৬.৬১ শতাংশ ছিল যা নভেম্বর মাসে বেড়ে হয়েছে ৮.৭০ শতাংশে দাড়িয়ে কনজিউমার বাস্কেটের মুদ্রাস্ফীতি। মূল্য মুদ্রাস্ফীতি অস্থিতিশীল খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যকে বাদ দিয়ে হিসেব করা হয়, যা গতমাসে ৪.০৫ থেকে ৪.২০ শতাংশে রয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চ বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা? এই ৫টি উপায়ে আপনি বিদ্যুৎ বিল কম করতে পারবেন।
এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের পদক্ষেপ
নভেম্বর মাসে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) নির্ধারিত ২ থেকে ৬ শতাংশের সহনশীল সীমার মধ্যে রইল, তবে এটি ৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের উপরে ওঠার পর থেকে ভারত সরকার মুদ্রাস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন ধরুন চাল, গম, চিনি এবং পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করা, খাদ্য স্টকহোল্ডারদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং কৃষিজ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা। সরকার আরও জানিয়েছে যে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বছরের প্রথমার্ধে ৭.৭ শতাংশ ছিল, যা ভালো লক্ষণ। তবে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে, তাই সরকারকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: হু হু করে কমবে পেট্রোল, ডিজেলের দাম! বড় রকম সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇
Comments are closed.