বর্তমান দিনে ব্যাংকে সবারই একাউন্ট রয়েছে। ফলে আপনারা অবশ্যই কেওয়াইসির(KYC) বিষয়ে নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। আপনার অবশ্যই মনে থাকবে আপনি যখন ব্যাংকে নতুন একাউন্ট খুলেছেলিন তখন আপনাকে কেওয়াইসি নথিপত্র বাবদ আপনার পরিচয় পত্র, আপনার ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং প্যান কার্ড, আধার কার্ড ইত্যাদি জমা করতে হয়েছিল। তবুও কেন এর পরেও ব্যাংক কয়েকদিন ছাড়া ছাড়া আপনাকে কেওয়াইসি আপডেট করতে বলে? বিস্তারিত জানুন আজকের এই প্রতিবেদনে। এছাড়াও কেওয়াইসি সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
KYC কি?
KYC কথার সম্পূর্ণ অর্থ হল Know your Customer। অর্থাৎ KYC হল একপ্রকার গ্রাহক সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া। ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কেওয়াইসি আপডেটের মাধ্যমে তার গ্রাহকের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে। যাতে ভবিষ্যতে কোন দুর্ঘটনা বা সমস্যা ঘটলে সহজেই সেই গ্রাহককে সনাক্ত করা যায়।
KYC কেন গুরুত্বপূর্ণ
যেহেতু ব্যাংকে একাধিক গ্রাহকের টাকা লেনদেন করা হয় তাই সমস্ত গ্রাহকের তথ্য ব্যাংকের কাছে থাকা জরুরি। KYC মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহজেই তার গ্রাহক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে। তাই আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর কেওয়াইসি আপডেট না করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাই কেওয়াইসি আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরোও জানুন » Sevings Account: সেভিংস একাউন্টের 4 টি নিয়ম! ব্যাংক একাউন্ট থাকলে প্রত্যেকের জানা দরকার এই নিয়মগুলি সম্পর্কে
KYC সম্পর্কিত নিয়ম কানুন
ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ব্যাংক আপনার কাছ থেকে কেওয়াইসি আপডেট করতে বলবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যাচাই করবে আপনার দেওয়া তথ্য এবং আপনার নথিপত্রের তথ্য সব ঠিক আছে কিনা। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবেই আপনি সমস্ত পরিষেবা পাবেন এবং যদি ঠিক না থাকে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুযায়ী নতুন এবং পুরনো গ্রাহক প্রত্যেককে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে।
কোন কোন KYC পরিস্থিতিতে আপডেট করতে হবে
ব্যাংকে একাউন্ট খোলার সময় আপনি যদি সমস্ত KYC নথিপত্র (যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি) জমা না করেন সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে পরবর্তীতে কেওয়াইসি নথিপত্র চাওয়া হবে। এছাড়াও KYC নথিপত্র হিসেবে আপনি যে ডকুমেন্টগুলি জমা করেছিলেন তার একটি বৈধতা বা মেয়াদ থাকে সেই মেয়াদ বা বৈধতা শেষ হলে আপনাকে পুনরায় kyc আপডেট করতে হবে।
আরোও পড়ুন » Minimum Balance: ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নূন্যতম ব্যালেন্স না থাকলে কাটা হবে ফাইন! জরুরী নির্দেশিকা RBI এর।
KYC আপডেটের সময় ব্যাংকে কি কি জমা করতে হয়
যদি ব্যাংক আপনার লেনদেন প্রক্রিয়া আটক করে রেখে KYC আপডেটের জন্য নোটিশ দিয়ে থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই জানা দরকার KYC ফর্মের সঙ্গে ব্যাংকে আপনাকে আর কি কি ডকুমেন্টস জমা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে যে ডকুমেন্টসগুলো জমা করতে হবে সেগুলি হলো (১) আধার কার্ড, (২) প্যান কার্ড, (৩) ভোটার কার্ড, (৪) পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ফটোগ্রাফ এবং (৫) ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স। এগুলি ছাড়াও ব্যাংক যদি বাড়তি অন্য ডকুমেন্টস চাই সেক্ষেত্রে সেই ডকুমেন্টটিও জমা করতে হবে।
অবশ্যই পড়ুন » Safest Bank: ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, যেখানে টাকা রাখলে চিন্তা নেই- স্পষ্ট জানালো আরবিআই।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇