what is 80c in income tax: বিভিন্ন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা শুনতে পাই আয়কর আইনের 80C ধারার কথা। এই ধারা অনুসারে আয়করের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পান করদাতারা। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এই ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়? 80C ধারা আসলে কি? এসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বহু মানুষই জানেন না। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই ধারা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানাবো।
80C ধারা কি?
প্রতি অর্থ বর্ষের ভিত্তিতে আয়কর দাতাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কর হিসেবে সরকারের কাছে জমা দিতে হয়। তবে আয়কর আইনের 80C ধারা অনুসারে একজন করদাতা একটি অর্থবর্ষে তার বিভিন্ন বিনিয়োগ ও খরচের পরিমাণ এর ওপর ভিত্তি করে আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পান। তবে যে কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলেই এই ছাড় পাওয়া যায় এমন নয়। শুধুমাত্র কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলেই করযুক্ত আয়ের উপর ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড় মেলে।
বর্তমানে ভারতের আয়কর ব্যবস্থা
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সংসদে পেশ করার সেই বাজেট অনুসারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ভারতীয় আয়কর কাঠামো সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে তৃতীয় কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পরেও 80C ধারাকে আগের মতই রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ধারা অনুসারে বিশেষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড় পান বিনিয়োগকারী।
আরোও পড়ুন » GST কি? GST এর প্রকারভেদ! উদ্দেশ্য ও সুবিধা গুলি সম্পর্কে জেনে নিন!
কোন কোন ক্ষেত্রে 80C ধারার অধীনে ছাড় মেলে?
যেকোনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রেই ভারতীয় আয়কর দাতারা এই কর ছাড়ের সুবিধা পান না। এর জন্য নির্দিষ্ট বেশ কিছু স্কিমে বিনিয়োগ করতে হয়। দেখে নিন সেই স্কিম গুলি কি কি।
- বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা EPF এর মাধ্যমে আর্থিক সঞ্চয় করার সুবিধা দেওয়া হয়। এই আর্থিক সঞ্চয় প্রকল্পে 80C ধারায় আয়কর ছাড়ের সুবিধা পান গ্রাহক।
- কয়েকটি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প যেমন পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PPF ও ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা NSC এ বিনিয়োগ করলে এই ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়।
- ৫ বছরের জন্য করা ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে গ্রাহকরা 80C ধারায় আয়কর ছাড়ের সুবিধা পান।
- ইক্যুইটি লিংক্ট সেভিংস বা ELSS এর ক্ষেত্রেও মেলে এই কর ছাড়ের সুবিধা।
বিনিয়োগের সীমা
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর ছাড়ের সুবিধা পেতে বহু বিনিয়োগকারী উপরিউক্ত স্কিম গুলিতেই বিনিয়োগ করেন। এই স্কিম গুলির কোনোটিতে আবার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক সীমা নির্ধারণ করা রয়েছে। যেমন PPF স্কিমে বিনিয়োগ করতে চাইলে গ্রাহক একটি অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার ELSS মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী নিজের ইচ্ছা মত আর্থিক বিনিয়োগ করতে পারেন এবং আয়কর ছাড় পান।
খরচের ক্ষেত্রে আয়কর ছাড়
বিভিন্ন বিনিয়োগ মাধ্যম গুলি ছাড়াও খরচের ক্ষেত্রেও 80C এর অধীনে আয়কর ছাড় মেলে। যেমন গৃহঋণ নেওয়া, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা, সন্তানের শিক্ষা খাতে জন্য খরচ, স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশনের খরচ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই কর ছাড় পাওয়া যায়।
অবশ্যই পড়ুন » ITR Filling 2024: ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করলে পাবেন এই ৫ টি সুবিধা, যা অনেকেই জানেনা
এই ধরনের আর্থিক সংক্রান্ত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇