ভবিষ্যতের জন্য ভাবনা থাকলে অবশ্যই আপনাকে বিনিয়োগের রাস্তা বেছে নিতে হবে। বিনিয়োগই পারে ভবিষ্যৎকে সুন্দর থেকে আরও সুন্দর করে তুলতে। এর জন্য আপনার আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য একাধিক বিকল্প রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রেকারিং ডিপোজিট ও এসআইপি। এই দুটি স্কিমেই মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়।
যারা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে তারা মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং যারা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে না তারা বিনিয়োগের জন্য বেছে নেয় ব্যাঙ্কের রেকারিং ডিপোজিটকে। তবে বর্তমানে বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। দিন দিন বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। গত নভেম্বরে মুদ্রা স্ফীতির হার সব চেয়ে বেশি ছিল। আর এই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থির হয়ে উঠছে বাজার। এ অবস্থায় এসআইপি নাকি রেকারিং ডিপোজিট কোথায় বিনিয়োগ করলে লাভজনক?
এসআইপি বনাম রেকারিং ডিপোজিট
আজকাল বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা SIP। মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে কিস্তির মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের রেকারিং ডিপোজিটও বিনিয়োগের একটি সেরা উপায়। এখানেও মাসিক কিস্তির মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করা যায়। তবে দুটির সুবিধা সম্পূর্ণ আলাদা। এই দুটি বিনিয়োগ বিকল্পের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে এক নজরে দেখে নিন।
অবশ্যই পড়ুন » LIC Scheme: 5 বছরে টাকা ডবল করতে চান? বিনিয়োগ করুন এলআইসি-র এই স্কিমে, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য।
১) রেকারিং ডিপোজিট বা RD-তে বিনিয়োগ নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন। কারণ এখানে বিনিয়োগ করলে তা সরাসরি বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকে না। অন্যদিকে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বাজরের সঙ্গে যুক্ত। বাজারের ওঠা নামার সঙ্গে ঝুঁকির পরিমান বারে ও কমে। ফলে রিটার্নও পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে।
২) রেকারিং ডিপোজিটে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। এদিকে এসআইপিতে যতটা ঝুঁকি নেবেন তার উপর রিটার্ন নির্ভর করে। ঝুঁকি বেশি নিলে রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদি এসআইপিতে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি পাওয়া যায়।
৩) বিনিয়োগ করার সময় গ্রাহকরা রেকারিং ডিপোজিটের সুদের পরিমান জানতে পারেন। কারণ এখানে একটা নির্দিষ্ট পরিমান সুদের হার ফিক্সড করা থাকে। এখানে ৫.৮ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ সুদের হার পাওয়া যায়। অন্যদিকে এসআইপিতে নির্দিষ্ট সুদের হার নেই। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে বাজারের উপর। বাজার ভালো হলে রিটার্ন ভালো হবে আর বাজার খারাপ থাকলে টাকা জলে যাবে। এখানে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পোয়া যায়।
৪) তবে রেকারিং ডিপোজিট যে কোনো সময় যদি বন্ধ করে টাকা তুলে নিতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু এসআইপিতে আপনি যে কোনো সময় টাকা তুলে নিতে পারবেন এবং এসআইপি বন্ধ করতে পারবেন। এর জন্য কোনো জরিমানাও দিতে হবে না।
অবশ্যই পড়ুন » Mahila Smridhi Yojana: মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা! রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্পে 30 হাজার টাকা পাবে মহিলারা।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇