বর্তমানে আমরা যত আধুনিকতার দিকে অগ্রসর হচ্ছি ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন পরিসর গুলি আধুনিক হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও আমরা বর্তমানে ক্যাশলেস পরিষেবায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। এই কারণেই বর্তমানে সময় আর্থিক লেনদেনের জন্য প্রয়োজন হয় ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, বিভিন্ন ইউপিআই অ্যাপ ইত্যাদি। বর্তমানে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে এখনো পর্যন্ত বহু মানুষ ক্রেডিট কার্ড চেয়েও বিভিন্ন কারণে তা পাচ্ছেন না। অনেক মানুষ আবার বিশ্বাস করেন আয়ের প্রমাণপত্র না থাকলে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায় না। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একথা সত্যি যে আয়ের প্রমাণ এবং ক্রেডিট স্কোর যাচাই করেই ব্যাংক গুলি তার গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে। তবে আয়ের প্রমাণপত্র না থাকলেও নিম্নোক্ত কয়েকটি ভাবে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া সম্ভব।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার ৫টি সহজ পদ্ধতি
১) স্টুডেন্ট কার্ড:- বেশ কিছু ব্যাংক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করে। স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্রছাত্রীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত হয় না। এই কার্ডের খরচের সীমাও অন্যদের তুলনায় অনেক কম। এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা কোন প্রকার আয় না করেই ভালো ক্রেডিট হিস্ট্রি তৈরি করতে পারেন এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
২) পারিবারিক ক্রেডিট কার্ড:- পরিবারের কোনো ব্যক্তি যেমন বাবা, মা, স্বামী, স্ত্রী-র যদি ক্রেডিট কার্ড থাকে সেক্ষেত্রে সেই ক্রেডিট কার্ডের অংশ হিসাবে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আয় বা ক্রেডিট রিপোর্ট দেখা হয় না। পারিবারিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীকেই এই ক্রেডিট কার্ডের গ্যারান্টার হিসেবে ধরা হয়।
অবশ্যই পড়ুন » ATM থেকে ক্রেডিট কার্ডে টাকা তুললে হবে ক্ষতি! আগে থেকেই জেনেরাখুন এর কারণ
৩) ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড:- অনেক সময় গ্রাহকরা অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমকে বেছে নেন। ফিক্সড ডিপোজিটে জমা থাকা অর্থকে নিরাপত্তা হিসাবে বিবেচনা করে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক সহ আরও কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড অফার করে। এক্ষেত্রে ক্রেডিটের সীমা নির্ধারণ করা হয় ফিক্সড ডিপোজিটে জমা থাকা অর্থের উপর ভিত্তি করে।
৪) সেভিংস এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড:- এমন অনেক গ্রাহক আছেন যারা ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা জমা করে রাখেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংকে থাকা সেভিংসের পরিমাণ দেখিয়ে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন সেই গ্রাহক। গ্রাহকের অ্যা মোটা অঙ্কের টাকা জমানো থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে পারে।
৫) আয়কর রিটার্ন:- কোনো ব্যবসায়ী যদি নিজের ব্যবসার ভিত্তিতে আয়কর রিটার্ন জমা করেন তবে সেই পরিমানকেই তার আয়ের প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে তিনি এর প্রমাণ গুলি দেখিয়ে ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের সীমা থাকে আয়কর রিটার্ন ফাইলিংয়ে আয় ও ব্যয়ের হিসাবের উপর।
অবশ্যই পড়ুন » Credit Card: বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে একাধিক বদল! এবার থেকে পাবেন অতিরিক্ত সুবিধা।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇