Petrol Pump Fraud: বহু মানুষই চান নিজের কাছে নিজস্ব একটি পছন্দের গাড়ি থাকবে। তাই অনেকেই দু চাকা বা চারচাকা গাড়ি কিনে নিজের সেই স্বপ্নকে পূরণ করেন। বর্তমানে বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ির আবির্ভাব হলেও যে সমস্ত মানুষ আজও জ্বালানি তেল দ্বারা চালিত গাড়ি ব্যবহার করে। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের জ্বালানির প্রয়োজনে যেতে হয় পেট্রোল পাম্পে। নিজের স্বপ্নের গাড়িকে সচল রাখার জন্য পেট্রোল পাম্পে গিয়েও তাদের নানা ধরনের প্রতারণার সম্মুখীন হতে হয়।
পেট্রোল পাম্পে যে বিভিন্ন ভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই ভারতের বেশ কয়েকটি পেট্রোল পাম্পে ধরা পড়েছে। তবে পেট্রোল পাম্পের এই প্রতারণার কৌশল জেনে একদিকে যেমন ক্রেতারা সাবধান হচ্ছেন পাশাপাশি প্রতারকরাও প্রতারণার নতুন জল বিস্তার করছে। এই কারণেই গাড়িতে তেল ভরতে গিয়ে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন না করলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে গেলে নির্দিষ্ট ওজনের তেল না দিয়ে বেশি চার্জ করা, রিফুয়েলিং করার সময় প্রতারণা করা ইতালি বিভিন্ন ঘটনার কথা প্রায়শই শোনা যায়। এই সমস্ত প্রতারণা থেকে বাঁচতে কয়েকটি বিশেষ টিপস অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। এই টিপসগুলি মেনে চললেই নিজের কষ্টার্জিত টাকা কে প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিন গাড়িতে তেল ভরতে গেলে ঠিক কোন কোন বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
পেট্রোল পাম্পে ঠকবাজি থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই উপায়
১) অনেক সময় দেখা যায় ক্রেতা যে পরিমাণ জ্বালানি তেল নিতে চাইছেন সেই তেল সম্পূর্ণভাবে দেওয়ার আগেই পেট্রোল পাম্পের মিটারটি বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে রিফুয়েলিং করার প্রয়োজন পড়ে।রিফুয়েলিং করার জন্য পেট্রোল পাম্পের মিটারটিকে আবার শূন্য থেকে সেট করে নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় ফুয়েল ডিসপেনসারের মিটার শূন্যে সেট না করেই পাম্প পরিচারক মিটারটিকে চালু করে বেশি পরিমাণ থেকে জ্বালানি দেওয়া শুরু করে। ক্রেতা এই বিষয়টিকে খেয়াল না করলে জ্বালানি কম ভরে তার কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে নেওয়া হয়।
২) বহু সময় দেখা যায় ক্রেতারা ৫০০ টাকা বা ১ হাজার টাকার জ্বালানি কিনতে চান। কিন্তু ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে চান এমন পেট্রোল পাম্পের পরিচারকরা এই পরিমাণে নির্দিষ্ট জ্বালানির পরিমাণ আগে থেকেই ঠিক করে রাখে। ফলে ক্রেতা সতর্ক না হওয়ার কারণে আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা কম পরিমাণের জ্বালানি তেল তাকে দেওয়া হয়। এই কারণেই বলা হয় এই প্রতারণা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বিজোড় সংখ্যার অর্থাৎ ৫৭৫ টাকা বা ১৩৫৫ টাকা ইত্যাদি নিজের মনের মত টাকার অংকের জ্বালানি কিনতে হবে।
আরোও পড়ুন » মা-বোনেদের জন্য কেন্দ্র সরকারের স্কিম! বাচ্চা থেকে শুরু করে বিবাহিত মহিলা সকলের জন্যই রয়েছে প্রকল্প।
৩) পেট্রোল পাম্পে গিয়ে নিজের গাড়িতে জ্বালানি ভরার সময় পাম্প পরিচারক কি জ্বালানি ব্যবহার করছেন তা অবশ্যই আগে থেকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ অনেক সময় ক্রেতাকে জিজ্ঞাসা না করেই পাম্পের পরিচারকরা উচ্চ অকটেন ফুয়েল দিয়ে গাড়ি রিফিল করেন। এই উচ্চ অকটেন ফুয়েল বাজারে পাওয়ার পেট্রোল নামে খ্যাত। তবে এর দ্বারা গাড়িতে বিশেষ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়ে না, অথচ এর জন্য ক্রেতার কাছ থেকে অনেক বেশি টাকা চার্জ করা হয়।
৪) নামী পেট্রোল পাম্প গুলি নিজেদের গুণমান বজায় রাখতে চায় সব সময়। এই কারণে কোন সাধারণ ছোটখাটো পেট্রোল পাম্প এর বদলে নামী পেট্রোল পাম্পে গেলে এবং সুপরিচারকের কাছ থেকে জ্বালানি তেল ভরলে প্রতারণা শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে।
৫) কোন ক্রেতার যদি নিজের গাড়িতে ভরা জ্বালানির পরিমাণ সম্পর্কে সন্দেহ হয় সে ক্ষেত্রে এই পরিমাণ সম্পর্কে পেট্রোল পাম্পকে জিজ্ঞাসা করার অধিকার তার আছে। ক্রেতা অবশ্যই সেই জ্বালানি তেল পরিমাপ করার জন্য পেট্রোল পাম্প এর কাছে আর্জি জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে পাম্পের পরিচারক একটি ক্যালিব্রেটেড জ্বালানি পাত্র পূরণ করে এই পরিমাণের প্রমাণ দিয়ে থাকেন।
অবশ্যই পড়ুন » Petrol Diesel Price: লোকসভা ভোটের আগে দাম কমলো পেট্রোল-ডিজেলের! কোন শহরে কত টাকা লিটার দেখেনিন
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇