শেয়ার বাজার মিউচুয়াল ফান্ড পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাঙ্ক স্কিম ক্রেডিট কার্ড ডিমেট অ্যাকাউন্ট ইন্সুরেন্স FD ক্যালকুলেটর

রাজ্য সরকারের ‘মেগা স্কিম’! এই ৫টি ব্যবসা করলে রাজ্য সরকারের থেকে মিলবে আর্থিক অনুদান।

Updated on:

Doing these 5 Businesses will get Financial Grants from The Govt. এমন অনেক মানুষ আছেন যারা স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করে নিজের উপার্জনের পথ প্রশস্ত করতে চান। অনেকেই ব্যবসাকে নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করেন, আবার অনেক মানুষ সামান্য কিছু উপার্জনের পাশাপাশি বিকল্প জীবিকা হিসাবে ঘরে বসে কোনো ব্যবসা শুরু করেন। তবে ব্যবসা শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হয় মূলধন। এই মূলধনের অভাবেই অনেক মানুষ ইচ্ছা থাকলেও নিজের স্বাধীন ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। তবে এবার সরকারের তরফ থেকে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের বিশেষ সহযোগিতা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারের তরফ থেকে চালু করা বিশেষ সুবিধা

রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের তরফ থেকে এ প্রসঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উদ্যানপালন উন্নয়ন মিশনের মাধ্যমে দারুন সব স্কিমের সুবিধা দেওয়া হয় গ্রাহকদের। এই প্রকল্প গুলির সুবিধা গ্রহণ করে কৃষক এবং এফপিসি, এফপিও নানা ভাবে উপকৃত হবেন।

আরোও পড়ুন » Business Idea: মাত্র ৫,০০০ টাকা পুঁজিতে শুরু করা যাবে এই ৪টি ব্যাবসা! সরকার থেকেও পাবেন সাহায্য

কোন ব্যবসা করলে দেওয়া হবে এই সুবিধা?

উদ্যানপালন উন্নয়ন মিশনের প্রকল্প অনুসারে বেশ কয়েকটি বিশেষ ব্যবসার জন্য অনুদান পাবেন ব্যবসায়ীরা। কাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে দেখে নিন।

  • কৃষকরা যদি মশলা চাষ করেন সেক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে তারা একটি বিশেষ সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্প শুরু করলে সম্পূর্ন প্রকল্পের খরচের ৪০ শতাংশ হিসেবে সর্বাধিক ১২০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে কৃষকদের। এই অনুদান পাওয়া যাবে প্রতি হেক্টর জমি হিসাবে।
  • কোনো ব্যক্তি যদি একটি ফলের প্যাকিং হাউস খুলে তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান, সেক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্য তিনি পেতে পারেন। ৯ মিটার × ৬ মিটারের একটি ফলের প্যাকিং হাউসে খরচের ৫০ শতাংশ অনুদান পাবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। প্রতি প্যাক হাউস পিছু এই অনুদান পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা হলো ২ লক্ষ টাকা।
  • ৮ হর্স পাওয়ার বা তার থেকে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার টিলার নিতে গেলে সরকারি সহায্য পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে মোট খরচের ৪০ শতাংশ অনুদান পাওয়া যায়। এই অনুদানের সর্বোচ্চ পরিমাণ হলো ৭৫০০০ টাকা প্রতি ইউনিট।
  • কম খরচে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তুললেও আর্থিক অনুদান পাওয়া সম্ভব হবে। এই পেঁয়াজ সংরক্ষণ প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ২৫ মেট্রিক টন হিসাবে সরকারি অনুদান মিলবে। এক্ষেত্রে পুরো প্রকল্প খরচের অর্ধেক টাকা অনুদান হিসাবে দেওয়া হবে কৃষকদের। এই হিসাব অনুসারে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে কৃষকরা প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৭৫০০ টাকা করে পেতে পারেন।
  • গ্রিন হাউজ ঘর তৈরি করতে চাইলে গ্রাহক সরকারি অনুদান লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও মোট প্রকল্প খরচের ৫০ শতাংশ টাকা সরকারি অনুদান হিসেবে পাওয়া যায়। প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৫৩০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৪ হাজার বর্গমিটারের জমিতে এই কাজ করে অনুদানটি পেতে পারেন।

অবশ্যই পড়ুন » Poultry Farming Busines: পোল্ট্রি ফার্মের ব্যাবসা শুরু করুন! কেন্দ্র সরকার থেকে পাবেন সহায়তা।

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলFollow Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
Google নিউজে ফলো করুনFollow Us

নমস্কার আমি Anjan Mahata! অর্থনীতি, শেয়ার মার্কেট, মিচুয়াল ফান্ড এবং টাকা বিনিয়োগ ও সঞ্চয় সম্পর্কে আমার সমস্ত জ্ঞান প্রতিবেদনের মাধ্যমে লিখে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার মূল্য উদ্দেশ্য।