Digital Gold or Gold Jewelry! In which one You will get more Profit: সোনার গয়নার প্রতি ভারতীয়দের আকর্ষণ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে দোকান থেকে ফিজিক্যাল সোনা কেনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক কালে ভারতীয়দের মধ্যে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। বেশ কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণার সময় সরকারের তরফ থেকে ভৌত সোনার আমদানি কমানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা সার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চলেছেন।
বিশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা গেছে সারা ভারতবর্ষে প্রতিবছর বেশ ভালো পরিমাণ ফিজিক্যাল সোনা ক্রয় বিক্রয় হয়। বর্তমানে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সোনা কেনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ভাবে বেশ কিছু পরিবর্তনও এসেছে। পাশাপাশি ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মূলত ৪ টি কারণ রয়েছে। দেখে নিন সেই কারণ গুলি কি কি।
সহজে কেনাকাটার সুবিধা
নাভি-র মতে ফিজিক্যাল সোনা কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে সোনার বিশুদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হয়। তবে ডিজিটাল সোনা কেনার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতা সম্পর্কিত কোন ভয় থাকেনা। NAVI এর গবেষণা অনুসারে দেখা গেছে এই বিশুদ্ধতা সম্পর্কিত প্রশ্ন গুলি মাথায় রেখেই বহু মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করাকে বেশি প্রাধান্য দেন। কারণ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করলে ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনা কেনার আগেও বিশেষ ভয় পেতে হয় না।
দুর্দান্ত রিটান লাভ
ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করলে বর্তমানে বেশ মোটা টাকার রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। NAVI-র সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় বলেই বর্তমানে সময়ের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেন।
ডিজিটাল সোনা চোট যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না
সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। তাই ফিজিক্যাল সোনা কিনলে সেটি অত্যন্ত সুরক্ষিত ভাবে রাখতে হয়। অন্যথায় চোট যাওয়া বা চুরির সম্ভাবনা থাকে। এই ভয় থেকে মুক্তি পেতেই বহু মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। ডিজিটাল সোনায় ভিডিও করলে তা একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত এই কথা বলা যায় না ঠিকই। তবে এটি ভৌত সোনার থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ। সাইবার জালিয়াতির দিক থেকে সতর্ক থাকলেই সুরক্ষিতভাবে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করা যায়।
আরোও পড়ুনঃ সোনার ওজন ও বিশুদ্ধতা পরিমাপ! ১০ গ্রাম= কত ভরি সোনা? কোন ক্যারেট সোনা সবথেকে বেশি খাঁটি?
সহজে কেনাকাটা করার সুবিধা
NAVI-র গবেষণা অনুসারে জানা গেছে সহজে ক্রয় বিক্রয় করার সুবিধা পাওয়া যায় বলে বহু মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। সমীক্ষা অনুসারে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন একটি অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই ডিজিটাল গোল্ড ক্যাশ করা যায় এবং যে কোনো সময় নিজের ইচ্ছা অনুসারে বিনিয়োগ ট্র্যাক করা যায়।
উপরে আলোচিত এই বিশেষ ৪ ধরণের সুবিধা গুলির জন্যই বর্তমানে ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে বহু মানুষের মধ্যে আজও ডিজিটাল গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ দীর্ঘদিন যাবত ডিজিটাল গোল্ড এ বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতেন না। ৪৪ শতাংশ মানুষ স্পর্শ এবং অনুভূতির জন্য ফিজিক্যাল গোল্ডকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। এছাড়াও শেয়ার বাজারের তুলনায় কম রিটার্ন, সাইবার জালিয়াতির ভয়ে ইত্যাদি কারনেও বহু মানুষ ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের থেকে ফিজিক্যাল সোনা কেনাকেই বেশি প্রাধান্য দেন। এছাড়াও অধিক পরিমাণ জিএসটির কারণে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মনের নানা দ্বিধা রয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: Gold VS Silver Investment: সোনা নাকি রূপা কোথায় বিনিয়োগ করবেন! কোন ধাতুতে বেশি লাভ পাবেন।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ন তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇