শেয়ার বাজার মিউচুয়াল ফান্ড পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাঙ্ক স্কিম ক্রেডিট কার্ড ডিমেট অ্যাকাউন্ট ইন্সুরেন্স FD ক্যালকুলেটর

Mutual Funds Tips: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলি খেয়াল করুন

Updated on:

Mutual Funds Tips: যেকোনো ব্যাংকের এফডি থেকে যথেষ্ট ভালো পরিমাণ রিটার্ন পাবেন একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে। তাই বিনিয়োগ করার জন্য মিউচুয়াল ফান্ড একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। যে কোন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে। যেমন: এক্সিট লোড বা ফি, লক-ইন পিরিয়ড, মিউচুয়াল ফান্ডের ট্যাক্স এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে বাড়বে কিনা। এগুলি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ুন।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে এগুলি খেয়াল রাখুন (Mutual Funds Tips)

শেয়ারবাজারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থেকেও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার একটি ভালো বিকল্প হল মিউচুয়াল ফান্ড। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র একটি ভালো রিটার্ন প্রদানকারী মিউচুয়াল ফান্ড নির্বাচন করলেই হবে না, তার সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে। যেগুলি নিম্নরূপ:

1. এক্সিট লোড বা ফি (Exit Load/Fee)

আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা বের করতে চান অর্থাৎ মিউচুয়াল ফান্ড প্রস্থান করতে চান তখন, আপনাকে তার জন্য চার্জ দিতে হয়। যাকে ওই মিউচুয়াল ফান্ডের এক্সিট লোড বা ফি বলে। এর পরিমাণ প্রত্যেক মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। তাই যে কোন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে তার এক্সিট লোড বা ফি দেখে নেওয়া দরকার। 

2. লক-ইন পিরিয়ড (Lock-in Period)

মিউচুয়াল ফান্ডের লগিন পিরিয়ড হলো একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা যা পূর্ণ হওয়ার আগে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রস্থান করতে পারবেন না। মিউচুয়াল ফান্ডে লক-ইন পিরিয়ড  এক বছর, দু বছর, তিন বছর বা এরও বেশি হতে পারে। আবার অনেক মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো লক-ইন পিরিয়ড থাকে না, এই সমস্ত ফান্ড থেকে আপনি যখন খুশি প্রস্থান করতে পারবেন। কোন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে তার লক-ইন পিরিয়ড দেখে নেওয়া দরকার। 

আরও পড়ুন: Mutual Fund Investment – সাবধান! মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ কি নিরাপদ? মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে অবশ্যই দেখুন।

3. মিউচুয়াল ফান্ডের ট্যাক্স (Tax on Mutual Funds)

আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে যে পরিমাণ লাভ করবেন, তার উপর কর (TAX) দিতে হবে। লাভের সময়কালের উপর ভিত্তি করে এই কর দু’ভাগে বিভক্ত করা যায়:

স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ কর: যদি আপনি এক বছরের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রস্থান করেন, তাহলে আপনার লাভের উপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এই করকে স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ কর বলা হয়। 

দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ কর: যদি আপনি এক বছরের বেশি সময় ধরে মিউচুয়াল ফান্ড ধরে রাখেন, তাহলে আপনার লাভের উপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। তবে, এই করের ক্ষেত্রে একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যদি আপনার লাভের পরিমাণ ১ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে আপনি ১ লাখ টাকার উপর কোনও কর দিতে হবে না। বাকি লাভের উপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। 

আরও পড়ুন: মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড কি? সুবিধা ও অসুবিধা, সেরা মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড।

4. দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ (Long Term Investment)

আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ করার আগে এটি নিশ্চিত করুন যে, দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ চালাতে পারবেন। কারন শেয়ার বাজারে ওঠানামা দেখতে পাওয়া টা সাভাবিক। তাই আপনি যদি ভালো পরিমাণ লাভ করতে চান তাহলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে উচ্চ রেটার্ন পেতে কমপক্ষে ৪-৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। আপনার যদি এটুকু ধর্যও না থাকে তাহলে, ২-৩ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। 

আরও পড়ুন: লার্জ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড কি? সুবিধা ও অসুবিধা, সেরা লার্জ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড।

উপসংহার 

Mutual Funds Tips: বিনিয়োগ করার জন্য মিউচুয়াল ফান্ড একটি ভালো বিকল্প, কারণ এতে আপনাকে প্রতিদিন শেয়ারবাজারের উপর নজর রাখতে হবে না। কিন্তু বিনিয়োগ করার জন্য একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ড নির্বাচন করলেই যতেষ্ট না, আপনাকে এক্সিট লোড বা ফি, লক-ইন পিরিয়ড, মিউচুয়াল ফান্ডের ট্যাক্স সম্পর্কেও জানতে হবে। উপরে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। 

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলFollow Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
Google নিউজে ফলো করুনFollow Us

নমস্কার আমি Joydeep! বিগত ৩ বছর ধরে টাকা বিনিয়োগ ও সঞ্চয় করার পদ্ধতি, অর্থনীতি, ব্যাংকের বিভিন্ন স্কিম, পোস্ট অফিসের স্কিম, এবং সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে নিবন্ধ লিখার কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।