শেয়ার বাজার মিউচুয়াল ফান্ড পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাঙ্ক স্কিম ক্রেডিট কার্ড ডিমেট অ্যাকাউন্ট ইন্সুরেন্স FD ক্যালকুলেটর

৫০ হাজার মানুষকে যুক্ত করা হচ্ছে বার্ধক্য ভাতার তালিকায়! বিরাট ঘোষণা নবান্নের।

Updated on:

West Bengal Old Age Pension Schemes Update: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজের উদ্যোগে এই রাজ্যে রাজ্যে একাধিক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। রাজ্যের তরফ থেকে বর্তমানে জারি থাকা একাধিক আর্থিক প্রকল্প গুলির সুবিধা পান রাজ্যে বসবাসকারী সকল স্তরের মানুষরাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, কন্যাশ্রী ইত্যাদি প্রকল্প থেকে থেকে শুরু করে বার্ধক্য ভাতা, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সুবিধাও পান রাজ্যবাসী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক জনগন উপকৃত হলেও, এই প্রকল্প পরিচালনা করতে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। কারণ কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া থাকা প্রায় দেড় কোটি টাকা এখনো পর্যন্ত ফিরত পায়নি রাজ্য। এই বিষয়ে বারবার কেন্দ্রের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে রাজ্যকে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা দীর্ঘদিন বকেয়া পড়ে থাকার কারণে জনকল্যাণমূলক আর্থিক পরিকল্পনাগুলি চালিয়ে যেতে টান পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে।

যদিও তা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রকল্প গুলিতে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রাহকের সংখ্যাও। এবার বার্ধক্য ভাতার তালিকায় যুক্ত হল আরো ৫০ হাজার মানুষের নাম।

কিভাবে বার্ধক্য ভাতার টাকা দেওয়া হয়?

মূলত পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের কাছে বার্ধক্য ভাতার টাকা পৌঁছে দেয়। পঞ্চায়েত ছাড়াও রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ দপ্তর, কৃষিদপ্তর, অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমেও কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে বার্ধক্য ভাতার আর্থিক সহায়তা পৌঁছে যায়। বর্তমানে রাজ্যের ২০ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এই টাকা। আবেদনের সময় গ্রাহকদের জানানো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে সরাসরি পৌঁছে যায় বার্ধক্য ভাতার টাকা।

আরও পড়ুন » কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষকে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকার!

প্রাপ্য টাকার পরিমান

২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্ধক্য ভাতার টাকার পরিমান বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বর্তমানে এই প্রকল্পের অধীনে মাসিক ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা। তবে এই বার্ধক্য ভাতার খুব সামান্য অংশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকার বার্ধক্য ভাতার অধীনে থাকা ৬০ থেকে ৮০ বছরের উপভোক্তাদের জন্য দেয় ২০০ টাকা করে। ৮০ বছরের ঊর্ধ্বের গ্রাহকের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বার্ধক্য ভাতা দেয় ৩০০ টাকা। আর বাকি টাকাটি দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। অর্থাৎ এই প্রকল্প পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় মোট ১৫০ কোটি টাকার অধিকাংশ টাই দেওয়া হয় রাজ্যের কোষাগার থেকে।

উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বক্তব্য

রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তার কাছ থেকে জানা গেছে নতুন ৫০ হাজার উপভক্তার নাম দ্রুত পোর্টালে তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে শীঘ্রই বার্ধক্য ভাতা নতুন উপভোক্তারা এই প্রকল্পের টাকা পেতে শুরু করবেন।

অবশ্যই পড়ুন » এই তারিখ থেকে ৯.২৬ কোটি কৃষকের একাউন্টে ঢুকবে PM কিষানের ১৭নং কিস্তির টাকা! ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের।

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলFollow Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
Google নিউজে ফলো করুনFollow Us

নমস্কার আমি Anjan Mahata! অর্থনীতি, শেয়ার মার্কেট, মিচুয়াল ফান্ড এবং টাকা বিনিয়োগ ও সঞ্চয় সম্পর্কে আমার সমস্ত জ্ঞান প্রতিবেদনের মাধ্যমে লিখে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার মূল্য উদ্দেশ্য।