The govt. will subsidize the purchase of agricultural machinery: ভারতবর্ষের দেশীয় অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভর করে কৃষির উপর। তবে আমাদের দেশের কৃষকরা অর্থনৈতিক দিক থেকে আজও দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করেন। তাই উন্নত মানের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা থেকে শুরু করে কৃষির মান উন্নয়ন ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করার সামর্থ্য তাদের থাকে না। তবে কৃষি ক্ষেত্রকে উন্নত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার গুলির তরফ থেকে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করা হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে সরাসরি সরকারি ভর্তুকিতে উন্নত মানের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ভিত্তিতে এই সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই সরকারি পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিন কারা এই সুবিধা পাবেন এবং কি ভাবে আবেদন করলে এই সুবিধা মিলতে পারে।
কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে এই প্রকল্পের সুবিধা গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। সেই তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে এই সরকারি প্রকল্পের অধীনে ১১০০ টি কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়ার কেন্দ্র অর্থাৎ কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খোলা হবে। সেই সঙ্গে ফর্ম মেশিনারি ভর্তুকিতে স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি মোট ৪ টি প্রকল্পের সাহায্যে ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। সেই ৪ টি প্রকল্প হলো-
- কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এককালীন অর্থ সাহায্য করা হবে। এক্ষেত্রে ছোট কৃষি যন্ত্রপাতির কেনা দামের ৫০% ভর্তুকি পাওয়া যাবে। ভর্তুকির পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ১০০০০ টাকা।
- শক্তিচালিত যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে ৫০-৬০% থেকে সর্বাধিক ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থ সাহায্য করা হবে।
- কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রজেক্ট মূল্য ২০ লক্ষ্য টাকা হতে হবে এবং এই টাকার ৪০% সরকারি ভর্তুকি হিসেবে পাওয়া যাবে।
- কৃষি যন্ত্রপাতির হাব স্থাপন করার জন্য আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। হাব স্থাপনের সর্বাধিক প্রজেক্ট মূল্য ১০ লক্ষ টাকা এবং মোট মূল্যের ৮০% ভর্তুকি দেবে সরকার।
অবশ্যই পড়ুন » বাংলা শস্য বীমার মাধ্যমে ২ লক্ষ ১০ হাজার কৃষকের একাউন্টে ২৯৩ কোটি টাকা দেবেন রাজ্য সরকার।
আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য সরাসরি আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। এর জন্য প্রয়োজন হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন নথিপত্র। সেগুলি হলো আবেদনকারীর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস, এক কপি ছবি এবং অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি। মাথায় রাখতে হবে অনলাইন আবেদনের পর এই সমস্ত নথিপত্রগুলি কৃষি দপ্তরের অফিসে গিয়ে জমা করতে হবে। কৃষি বিভাগ থেকে সমস্ত নথিপত্র যাচাই করার পর সেই আবেদন গ্রাহ্য হলে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা ঢুকে যাবে।
কবে থেকে এই প্রকল্প কার্যকর হবে?
সরকারি কৃষি বিভাগের দেওয়া গাইডলাইন অনুসারে জানা গেছে এই প্রকল্পটি ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।
আরোও পড়ুন » MSP Price: কৃষকদের জন্য বিরাট সুখবর! খারিফ মরসুমে ১৪ টি ফসলের MSP বৃদ্ধি।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇