বর্তমানে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা নিজেদের শখ পূরণের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে সোনা কিনেন এবং অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিনিয়োগের জন্য সোনা কিনেন অর্থাৎ কিছু পরিমান সোনা কিনে রাখেন এবং পাঁচ বছর কিংবা ১০ বছর পর সেই সোনা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করেন। নিজের কাছে সোনা রাখার আগে সোনা রাখার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই জানা দরকার নইলে সরকারকে মোটা টাকা ট্যাক্স দিতে হতে পারে।
অনেকেই বিয়েবাড়ি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে বিপুল পরিমাণে সোনা পায় এবং অনেক ব্যক্তি গোল্ড বন্ড, সোনার কয়েন ইত্যাদি কিনে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু সোনা নিজের কাছে রাখার আগে সোনা রাখার সীমা সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার। আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে একজন ব্যক্তি কতটা সীমা পর্যন্ত সোনা রাখতে পারেন।
কতটা পরিমাণ সোনা নিজের কাছে রাখতে পারবেন
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক এক একজন ব্যাক্তি একসাথে কতটা পরিমাণ সোনা নিজের কাছে রাখতে পারবে। আপনি একসঙ্গে কতটা সোনা রাখতে পারবেন তার নীচের তালিকা থেকে দেখেনিন।
বিবাহিত মহিলা | ৫০০ গ্রাম |
অবিবাহিত মহিলা | ২৫০ গ্রাম |
পুরুষ | ১০০ গ্রাম |
উপহার পাওয়া সোনার গয়নার মূল্যে যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়ে যায় তাহলে আয়কর দিতে হবে এবং যদি উপহার প্রাপ্ত সোনার মূল্য ৫০ হাজার টাকার কম হয় তাহলে কোন রকম কর দিতে হবে না। কিন্তু উপহার যদি নিম্নলিখিত জায়গা গুলি থেকে আসে তাহলে কোন রকম ট্যাক্স দিতে হবে না।
- স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরস্পরের দেওয়া উপহার।
- পরিবারের মধ্যে দেওয়া উপহার।
- বংশ পরম্পরায় পাওয়া সম্পত্তি।
- বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া উপহার।
সোনা রাখার নিয়ম কানুন
CBDT ১৯৯৪ সালে ১১ ই মে একটি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে সোনা লেখার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন (১) যদি কোন ব্যক্তি সম্পত্তির ট্যাক্সের আওতায় না থাকেন তাহলে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত সোনা বাজেয়াপ্ত করা হবে না। (২) কোন ব্যক্তি যদি সম্পত্তির ট্যাক্সের আওতায় থাকেন এবং যদি নির্দিষ্ট সীমা বেশি সোনা পাওয়া যায় তাহলে সেই সোনা বাজার তো করা বা সেই সোনার উপর ট্যাক্স দিতে হবে।
অবশ্যই পড়ুন » Tax Savings Tips: ২০২৪ সালে এইভাবে ট্যাক্স বাঁচান, ইনকাম ট্যাক্স বাঁচানোর সহজ উপায়
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇