বেতনভোগী কর্মীরা তাদের সমগ্র কর্মজীবনে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে, অবসর গ্রহণের পর যে স্কিম টির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা লাভ করে সেটি হল পিএফ বা প্রভিডেন্ট ফান্ড। সরকার দ্বারা স্বীকৃত এই স্কিমে প্রতি মাসের বেতন থেকে কর্মীরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করেন। সেই সঙ্গে সম পরিমাণ অর্থ কর্মীর পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় নিয়োগকারী সংস্থার তরফ থেকে। সমগ্র কর্মজীবন জুড়ে PF অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত হওয়া অর্থ অবসরের পর সেই কর্মীকে আর্থিক সুরক্ষা দেয়। তবে শুধু অবসর জীবনের ক্ষেত্রেই নয়, যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে বেতনভোগী কর্মী তার প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলতে হয় কিছু নিয়ম কানুন।
জরুরী প্রয়োজনে PF থেকে টাকা তোলা যায় কি?
যে কোনো জরুরী পরিস্থিতিতে কর্মীরা যাতে তাদের পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন সে কথা মাথায় রেখে বিশেষ একটি ব্যবস্থা করেছে EPFO। ইপিএফও-র তরফ থেকে চালু করা হয়েছে অটো মোড। ২০২০ সালে কর্মীদের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছিল অটো ক্লেম পদ্ধতি। তবে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনের জন্যই টাকা তুলতে পারতেন গ্রাহক। তবে এবার থেকে কর্মীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সেই টাকা তোলার পরে দিয়ে আরো বাড়ানো হয়েছে। কারণ এবার থেকে গ্রাহক চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষা ও বিয়ের কারণেও তার প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন।
প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার পরিমাণটিও বাড়ানো হয়েছে EPFO-র তরফ থেকে। এর আগে এই অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকরা ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারতেন। তবে এবার সেই পরিমাণটি বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। ইপিএফও-র তরফ থেকে এপ্রসঙ্গে একটি বিশেষ বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে দেশের অন্তত ২.২৫ কোটি কর্মী এই ব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। তবে জানা গেছে কোনো মানুষের হস্তক্ষেপে এই পদ্ধতিটি পরিচালিত হবে না। টাকা তোলার পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে আইটি-র মাধ্যমে।
অবশ্যই পড়ুন » এবার ৫০০০০ টাকা বোনাস দেবে EPFO! কারা এবং কিভাবে এই সুবিধা পাবে জানুন।
PF থেকে টাকা তোলার নতুন
এর আগে কোনো বেতনভোগী কর্মী যদি তার প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে চাইতেন সে ক্ষেত্রে তাকে অনেক গুলি ভেরিফিকেশনের ধাপ পেরোতে হতো। ইপিএফও-র তরফ থেকে করানো হতো এই ভেরিফিকেশন। টাকা তোলার জন্য আবেদনকারী কর্মী আদৌ টাকা পাওয়ার যোগ্য কিনা, তার কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত বৈধ তথ্য আছে কিনা সেই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হতো ইপিএফও-র তরফ থেকে। এই কারণে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হতে অনেকটা সময় লাগতো। বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত হবে আইটি-র মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন ও হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। এর ফলে ৩-৪ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। গ্রাহককে টাকা পাওয়ার জন্য আগের মতো আর দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না।
অবশ্যই পড়ুন » EPFO Rules: চাকরি পরিবর্তন করলেও আর চিন্তা নেই! একাধিক EPF অ্যাকাউন্টকে জুড়তে পারবেন UAN এর সাহায্যে!
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇