Proof of Source of Fund: আপনি যদি পোস্ট অফিসের একজন গ্রাহক হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি পোস্ট অফিসের যেকোনো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে পোস্ট অফিসের এই নতুন আপডেটটি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। সম্প্রতি পোস্ট অফিসের তরফ থেকে একটি নতুন আপডেট দেওয়া হয়েছে। ২৫-ই মে ২০২৩, তারিখ পোস্ট অফিসের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি যদি পোস্ট অফিসের কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে ম্যাচুরিটির সময় ওই ব্যক্তিকে Proof of Source of Fund সার্টিফিকেট জমা করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে টাকাটি বিনিয়োগ করেছেন সেই টাকার উৎসের একটি সার্টিফিকেট ম্যাচুরিটির সময় জমা করতে হবে। ম্যাচুরিটির সময় কোন কোন ব্যক্তিদের এই সার্টিফিকেট জমা করতে হবে?, কত টাকা বিনিয়োগ করলে এই সার্টিফিকেট জমা করতে হবে? বিস্তারিত জানার জন্য পুরো পোস্টটি পড়ুন।
কাদেরকে এই সার্টিফিকেট জমা করতে হবে
কোন কোন ব্যক্তিদের পোস্ট অফিসে টাকা ম্যাচুরিটির সময় এই সার্টিফিকেট জমা করতে হবে? এ বিষয়ে জানার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। KYC-এর উপর ভিত্তি করে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগকারীদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে Low Risk ক্যাটাগরি, Midium Risk ক্যাটাগরি, High Risk ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে এই সার্টিফিকেট ম্যাচুরিটি সময় জমা করতে হবে। এই তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে আপনি কোন ক্যাটাগরিতে পড়েন তা জানা অত্যন্ত জরুরী।
Low Risk ক্যাটাগরি
আপনি যদি পোস্ট অফিসের কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং প্রিম্যাচিউরিটি বা ম্যাচিউরিটির সময় যদি আপনার টাকার পরিমাণ ৫০,০০০ টাকার কম হয় তাহলে আপনি Low Risk ক্যাটাগরিতে পড়েন।
Midium Risk ক্যাটাগরি
আপনি যদি পোস্ট অফিসের কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং প্রিম্যাচিউরিটি বা ম্যাচিউরিটির সময় যদি আপনার টাকার পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে হয় তাহলে আপনি Midium Risk ক্যাটাগরিতে পড়েন।
High Risk ক্যাটাগরি
আপনি যদি পোস্ট অফিসের কোনো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং প্রিম্যাচিউরিটি বা ম্যাচিউরিটির সময় যদি আপনার টাকার পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয় তাহলে আপনি High Risk ক্যাটাগরিতে পড়েন।
যে সকল ব্যক্তি High Risk ক্যাটাগরিতে পড়েন তাদেরকে Proof of Source of Fund সার্টিফিকেট পোস্ট অফিসে জমা করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে বিনিয়োগ করেন এবং ম্যাচুরিটি সময় আপনার টাকার পরিমাণ যদি ১০ লক্ষের বেশি হয় তাহলে আপনাকে Proof of Source of Fund সার্টিফিকেট জমা করতে হবে।
Proof of Source of Fund সার্টিফিকেট জমা করার সময় আপনার টাকার উৎসের প্রমান হিসেবে কয়েকটি নথী জমা করতে হবে।
- ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্টের লেনদেনের স্টেটমেন্ট।
- গত ৩ আর্থিক বছরে দাখিল করা আয়কর রিটার্নের যে কোনো একটি, যা আপনার মোট আয়ের বিনিয়োগের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
- বিক্রয় দলিল, উপহার দলিল, উইল, প্রশাসনের চিঠি এবং উত্তরাধিকার শংসাপত্র।
পোস্ট অফিসে Proof of Source of Fund সার্টিফিকেট জমা করার সময় আপনার টাকার উৎসের প্রমাণ হিসেবে উপরোক্ত নথীগুলির মধ্যে যে কোন একটি নথি জমা করতে হবে।
আরোও পড়ুন>> এবার পোস্ট অফিস থেকে কাটবে ট্যাক্স, পোস্ট অফিসে একাউন্ট থাকলে সাবধান
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ | Join Us |
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ | Join Us |
আমাদের ফেসবুক পেজ | Follow Us |
google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |
আরোও পড়ুন>> সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা কী? প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং আবেদন পদ্ধতি
ভারত সরকারের “ইন্ডিয়াপোস্ট”যে নির্দেশ অনুযায়ী এই নিয়ম চালু হয়েছে, তার নম্বর এবং তারিখ দিলে ভালো হয়।
I am retired person. I have been working on Kolkata Municipal corporation sence1986 . After retirement few amount have invested in post office in several investment.
আগে নেতা মন্ত্রী ও ফড়েরা তাদের বেআইনি টাকার উতস জানান তারপর আমাদের সাধারণ মানুষের সার্টিফিকেট চাইবেন যতসব চোর বাটপাড়ের দল
Right you are
একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা। কি মুশকিল বলুন তো দাদা, উত্তরাধিকার সূত্রে যদি আমাদের বাপঠাকুর দ্বারা টাকা পয়সা রেখে যায় আমাদের নামে সেটাও সোর্স প্রমাণ কি করে দেওয়া যাবে? তার কি কোন ডকুমেন্ট এখন আমাদের হাতে আছে যে আমরা প্রমাণ দেবো পোস্ট অফিসে রাখা হয়েছে তার থেকে আমরা জীবিকা নির্বাহ করছি তাতেও এদের গাত্রি জ্বালা হচ্ছে কেন? আর যখন জমি বিক্রি করে টাকা অর্জন করা হয়েছিল সে সময় দলিল তাকেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে জমি কিনেছিলেন তিনি এখন কোথায় বসবাস করছেন সেই খবর আমাদের কাছে নেই যে তার কাছ থেকে আমরা দলিল কপি নিয়ে এসে পোস্ট অফিসে জমা দেবো বা তিনিও তাতে সহমত হবেন কিনা সে ব্যাপারে তো কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গেই বসবাস করছেন না অন্য কোন রাজ্যে গিয়ে বসবাস করছেন কি করে এটা সম্ভব আমাদের পক্ষে? চোর নেতা মন্ত্রীদের ঘর ঘাটলেই তো কোটি কোটি টাকা সম্পদ সেখানে পায় আছে তাহলে আমাদের এই সঞ্চিত টাকার পিছনে মোদির এত বেশি লোভ কিসের? সবাইতো চুরির টাকা পোস্ট অফিসে রাখছে না জমি বাড়ি বিক্রয় করেও তো তার টাকা পোস্ট অফিসে রাখছে, টাকা যখন সেন্ট্রাল গভমেন্টের হাতেই থাকছে তার এত মাথাব্যথা কেন হচ্ছে সেই টাকার উৎস জানার পিছনে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই যে আপনার কি মনে হয় যারা পোস্ট অফিসে পাঁচ বছর ধরে টাকা জমা করে রিটার্ন পায় তারা বে আাইনি পথে রোজগার করে আপনার পোস্ট অফিসে পাঁচ বছরের জন্য টাকা রাখে?