Financial Planning: ২০ বছর থেকে ৩০ বছরের সময়টি হল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন যে আপনার ভবিষ্যৎ কেমন হবে। বেশিরভাগ লোকেই এই বয়স থেকে কাজ করা শুরু করে। তাই এই সময় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যাতে আপনার ভবিষ্যৎ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। আপনার বয়স যদি এখনো ৩০ বছরের কম হয় তাহলে নিচের উল্লেখিত ৫টি কাজ করে নিজের ভবিষৎ উজ্জ্বল করতে পারবেন। আপনি যদি নিজের ভবিষৎ নিয়ে কোন রকম ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না, তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্য বিশেষ হতে পারে।
১) সল্পমেয়াদী বিনিয়োগ করুন
এই বয়সে অযথা বাড়তি খরচ প্রচুর হয়। তাই আপনার হাতে রোজগার বা বেতন আসার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করুন। আপনি গাড়ি কেনার জন্য, বাড়ি কেনার জন্য, বিয়ের জন্য এবং ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ করতে পারেন। এর ফলে আপনার ভবিষ্যৎ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
২) গাড়ি ও বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করুন
প্রথম রোজগার হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষের ওই গাড়ি কেনার কথা মাথায় আসে। অনেকেই তো আবার ঋণ নিয়ে গাড়ি-বাড়ি কিনে নেয়। এই বয়স আপনার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় তাই এখন অযথা বাড়তি খরচ না করাই ভালো। তবে বর্তমানে গাড়ি ও বাড়ি কেনা অনেকেই জরুরী, তাই আপনি ভারসাম্য বজায় রেখে বাড়ি ও গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করতে পারেন।
৩) স্বাস্থ্য এবং জীবন বীমা কিনুন
বর্তমানে রোগ অসুখের কোন শেষ নেই এবং চিকিৎসার খরচও প্রচুর। পরিবারের কারো কোনো অসুখ হলে একটি ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে সম্পূর্ণ সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়। তাই এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য এমন একটি স্বাস্থ্য অভিমানে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে আপনার পরিবারের সবাই কাভারেজ পায়। তাছাড়া কোন দুর্ঘটনার কারণে আপনার যদি মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে আপনার পরিবারের আর্থিক সংকট আসতে পারে। এর থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিজের জীবন বীমা কিনে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: Personal Finance Tips – মধ্যবিত্তদের আর টাকার সমস্যা হবে না! মেনে চলুন এই ৫টি নিয়ম।
৪) অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করুন
বেশিরভাগ লোক ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করে। তাই আপনি যদি ৩০ বছর বয়স থেকে অবসরের পরিকল্পনা করে তাহলে বেশ ভালো হয়। কারণ এখনো পর্যন্ত আপনার হাতে আরও ৩০ বছর সময় থাকছে। অবসর জীবনের জন্য আপনি যেকোন স্কিমে অল্প অল্প বিনিয়োগ করলেও ৩০ বছরে একটি বড় তহবিল তৈরি করতে পারবেন। যার ফলে অবসর জীবনে আপনার আর টাকার অভাব হবে না। অবসর পরিকল্পনার জন্য আপনি ন্যাশনাল পেনশন ইস্কিম (NPS)-এ বিনিয়োগ করতে পারেন।
৫) একটি জরুরী তাহবিল তৈরি করুন
ওপরে উল্লেখিত সমস্ত পরিকল্পনাগুলি জরুরী, কিন্তু তার সঙ্গে আপনাকে একটি জরুরি তহবিল তৈরি করতে হবে। করোনা মহামারীর মত যদি আরো কোন মহামারী হয় অথবা, আপনি যদি বেসরকারি বিভাগে কাজ করেন এবং চাকরি চলে যায়, সে সময় আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা করবে এই তহবিল। আপনার পরিবারের ৬ মাসের মোট খরচের সমান এই জরুরি তহবিলের পরিমাণ হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: PPF Investment – পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে পাবেন ডবল রিটার্ন! জেনে নিন E-E-E নিয়ম সম্পর্কে।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇