শেয়ার বাজার মিউচুয়াল ফান্ড পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাঙ্ক স্কিম ক্রেডিট কার্ড ডিমেট অ্যাকাউন্ট ইন্সুরেন্স FD ক্যালকুলেটর

সরকারি ব্যাংক বেসরকারিকরণে উদ্যোগী কেন্দ্র! এবার সরকারি ব্যাংক থাকছে মাত্র ৪ টি।

Updated on:

Center for the privatization of government banks: সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করেন নতুন সরকার গঠন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার সরকারি ব্যাংক গুলির বেসরকারিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছেন। এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ব্যাংক সংযুক্তির মাধ্যমে সরকারি ব্যাংক গুলিকে বেসরকারিকরণের প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথমে দেশে সরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ২৭ টি থাকলেও ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একাধিক ব্যাংক সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে বর্তমানে দেশে সরকারি ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে মাত্র ১২ টি।

এবার দেশের সরকারি ব্যাংকের সংখ্যা আরো কমিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। মাত্র ৪ টি ব্যাংক সরকারের হাতে রেখে বাকি সমস্ত ব্যাংক গুলিকে বেসরকারি করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে যে বৈঠক করা হচ্ছে তার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ব্যাংক বেসরকারিকরণ আসলে কোন পদ্ধতিতে করা হবে। অর্থাৎ পুনরায় ব্যাংক সংযুক্তিকরণ নাকি সামগ্রিক বেসরকারিকরণ কোন পদ্ধতিতে পরবর্তী ধাপের কাজ গুলি এগোবে সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আর ব্যাংক সংযুক্তিকরণের পথে এগোতে চায় না কেন্দ্র। তাই এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামগ্রিক বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে।

জানা গেছে আইডিবিআই ব্যাংকের বেসরকারিকরণ এর কাজ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। তিনটি বেসরকারি আর্থিক সংস্থা ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে তাদের দরপত্র জমা দিয়েছে। পরবর্তীতে বাকি ব্যাংক গুলি নিয়েও কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে দ্রুত আলাপ আলোচনা করা হচ্ছে।

অবশ্যই পড়ুন » কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়, অবশ্যই জেনে নিন।

ব্যাংক বেসরকারিকরণের প্রধান কারণ

অর্থমন্ত্রক সূত্রে দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে ব্যাংক বেসরকারিকরণের প্রধান কারণ হিসেবে গ্রামীন আবাসন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থির করা হয়েছে, এবার প্রায় তিন কোটি নতুন আবাস তৈরি করা হবে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ৫০ শতাংশ বরাদ্দ বাজেট বাড়তে চলেছে। এই সময় সরকারি রাজকোষের অবস্থা মজবুত রাখতে বেসরকারিকরণের কথা ভাবছে সরকার।

অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য

অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে গত তিনটি আর্থিক বছরের নিরিখে বার্ষিক মুনাফা এবং সরকারের লভ্যাংশ প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি ব্যাংক আর্থিক ভাবে উন্নতি করেছে। বর্তমানে যে সমস্ত ব্যাংক গুলির ৯৫ শতাংশের বেশি অংশীদারিত্ব সরকারের কাছে আছে, সেগুলিকেই বেসরকারিকরণ করার লক্ষ্যে এগোতে চলেছে সরকার। যেহেতু বেশিরভাগ ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে অত্যন্ত উন্নত রয়েছে, ফলে সেগুলিকে বেসরকারিকরণ করলে সরকারি রাজকোষে মোটা আয় জমা পড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এর ফলে ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আগের থেকে উন্নত হবে।

আরোও পড়ুন » Safest Bank: ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, যেখানে টাকা রাখলে চিন্তা নেই- স্পষ্ট জানালো আরবিআই।

এই ধরনের অর্থনীতি সংক্রান্ত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলFollow Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
Google নিউজে ফলো করুনFollow Us

নমস্কার আমি Anjan Mahata! অর্থনীতি, শেয়ার মার্কেট, মিচুয়াল ফান্ড এবং টাকা বিনিয়োগ ও সঞ্চয় সম্পর্কে আমার সমস্ত জ্ঞান প্রতিবেদনের মাধ্যমে লিখে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার মূল্য উদ্দেশ্য।