বর্তমান সময়ে খুব কম মানুষই সরকারি চাকরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে থাকেন। সরকারী চাকরির মতো কর্পোরেট ক্ষেত্রে চাকরির সুবিধা খুব কম। বিশেষ করে পেনশনের সুবিধা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে অবসর জীবনে পেনশন পাওয়ার কোনো সুবিধাই থাকে না। যে সুবিধা পাওয়া যায়, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। অন্যদিকে অবসর নেওয়ার পর রোজগারের সমস্ত উপায় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
অবসর জীবনকে সুরক্ষিত রাখা কেন জরুরি
তাই বেসরকারি ক্ষেত্রে যারা চাকরি করেন, তাদের অবসর জীবনে আয়ের জন্য বিকল্প পথ খোঁজা দরকার। নয়তো অবসর জীবনের পর বেশ সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে। আর অবসর জীবনকে সুনিশ্চিত করার অন্যতম বেস্ট উপায় বিনিয়োগ। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে মানুষ বিনিয়োগ নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না বা পরিকল্পনা করেন না। আর এই ভুলেরই প্রভাব পড়ে অবসর জীবনে। তাই অবসর জীবনকে সুনিশ্চিত ও সুরক্ষিত করার জন্য আজ আপনাদের জন্য কয়েকটি টিপস নিয়ে এসেছি। পুরো বিষয়টি জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন।
অনেকেই ৪০ বছর বয়সের পরে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিকল্পনা শুরু করেন। তবে এতে করে অবসর সময়ের পর বেশ সমস্যা তৈরী হয়। খুব বেশি সঞ্চয়ও হয় না। তাই চাকরি জীবনে প্রবেশের সাথে সাথেই বিনিয়োগের পরিকল্পনা শুরু করে দেওয়া উচিত। এতে করে অবসর জীবনের পর একটা মোটা অংকের টাকা সঞ্চয় হয়। তবে বিনিয়োগের সময় মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি খেয়াল রেখে বিনিয়োগ করবেন।
অবসর জীবনের পরিকল্পনা করার আগে নিজের জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনার কোন সময়ের টাকার প্রয়োজন বেশি সে অনুযায়ী বিনিয়োগের পরিকল্পনা করুন। বিনিয়োগ সর্বদা পরিকল্পনা মাফিক করাই ভালো। কখন গাড়ি কিনবেন, কখন বাড়ি তৈরী করবেন এই সমস্ত প্ল্যান করে বিনিয়োগ করুন। কিন্তু বিনিয়োগের সময় অবশ্যই বাজার পরিস্থিতি দেখে তবেই বিনিয়োগ করবেন।
কিভাবে অবসর জীবনকে সুরক্ষিত রাখবেন
অবসর জীবনকে সুরক্ষিত করতে অবশ্যই স্বাস্থ্য বীমা বা Health Insurance করবেন। কারণ ৬০ বছর বয়সের পর মানুষ নানা রোগে ভুগতে থাকে। শরীর খারাপ লেগেই থাকে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বীমা করানো থাকলে আপনার বয়সকালে শরীর খারাপ করলে, খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না।
অবশ্যই পড়ুন » চাকরি না করেও মাসে ৭৬ হাজার টাকা পেনশন কিভাবে পাবেন? জেনেনিন সম্পূর্ণ তথ্য
অবসর জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্য দেশে একাধিক বিনিয়োগ স্কিম রয়েছে। সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি সংস্থা একাধিক স্কিম অফার করে থাকে। ফিক্সড ডিপোজিট থেকে শুরু করে মিউচুয়াল ফান্ড, ইপিএফ, পোস্ট অফিস কিংবা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। কোন ক্ষেত্রে এবং কোন স্কিমে বিনিয়োগ করবেন, তার জন্য স্কিমের শর্ত ভালো করে পড়ে নেবেন। তবে মনে রাখবেন, টাকার পরিমান যদি বেশি হয় তাহলে একটি ব্যাংকে বা একটি স্কিমে টাকা বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন স্কিমে বা বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা ইনভেনস্ট করবেন। এতে করে টাকা মার যাওয়ার সম্ভাবনা কম ও সুবিধা বেশি। তবে বিনিয়োগ করার সময় অবশ্যই বাজারের পরিস্থিতি দেখে বিনিয়োগ করবেন।
অবশ্যই পড়ুন » কেন্দ্রের এই নতুন স্কিমে প্রত্যেকদিন মাত্র ২ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে পাবেন ৩,০০০ টাকা পেনশন
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇