The govt. new guidelines to prevent corruption of Swasthya Sathi: রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক বছর আগে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিসেবা গ্রহণ করতে পারেন। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুবিধা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে এর আগে বহুবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ ও উঠেছে রোগীর তরফ থেকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নানা দুর্নীতির খবর পৌঁছেছে সরকারের কাছে।
স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি ঠেকাতে সরকারের নতুন উদ্যোগ
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে তাই এবার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য। এই প্রসঙ্গে নতুন নিয়ম কার্যকর করতে এবার রাজ্যে সরকারের তরফ থেকে জারি করা হলো নতুন নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ ২ টি দিক বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলি হল-
১) স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে কোনো রোগী যদি ১০ দিনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, সে ক্ষেত্রে সরকার বিলের টাকা মেটানোর আগে একটি মেডিক্যাল অডিট গঠন করতে হবে। উক্ত হাসপাতাল ২৫ জনের বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে গঠন করবেন এই অডিট কমিটি। এই অডিট কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারলে সমস্ত তথ্য পাঠানো হবে বিভাগীয় সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে। এই মেডিক্যাল অডিট এর মাধ্যমে দেখা হবে ওই রোগের সত্যিই ১০ দিনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি থাকার কোনো যথার্থ কারণ ছিল কিনা। সেই সঙ্গে দেখা হবে বিলের যে টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা যথার্থ হয়েছে কিনা। এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার পরেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালে থাকা রোগীর বিলের টাকা মিটিয়ে দেবে সরকার।
আরও পড়ুন » WB Sishu Saathi Scheme: রাজ্য সরকারের শিশু সাথী প্রকল্প! শিশুর চিকিৎসা মিলবে বিনামূল্য, অনলাইনে আবেদন করুন।
২) জেনারেল সার্জারি এবং গাইনী সার্জারির ক্ষেত্রে কিছু টাকা সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই রোগী একটি প্যাকেজ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যদি অন্য কোন রোগ চিহ্নিত হয় সেই টাকা সরকার দেবে না। অর্থাৎ একটি প্যাকেজ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগের যদি একটি অপারেশনের পর দেখা যায়, তার অন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা আছে, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টির টাকা সরকার দেবে না। মূল যে প্যাকেজটির অধীনে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, শুধুমাত্র সেই টাকাটিই মিটিয়ে দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সমস্ত দুর্নীতি দূর করতে এই পরিকল্পনা গুলি করেছিলেন। সেই অনুসারে নির্দেশ পাঠানো হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য দপ্তর বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে সারা রাজ্যে এই নিয়ম গুলি কার্যকর করল। রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম এর ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি প্রযোজ্য হবে। আশা করা যাচ্ছে সরকারের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পর স্বাস্থ্য সাথী সংক্রান্ত যাবতীয় দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নির্দেশিকাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন » স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কত টাকা আছে, বুঝতে পারছেন না? এভাবে খুব সহজে ব্যালেন্স চেক করে নিন
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇