সামনেই লোকসভা ভোট। নতুন বছর পড়লেই ভোটের আবহ শুরু হয়ে যাবে। আর ভোটের আগে একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক দিচ্ছে মোদী সরকার। কয়েক মাসে গ্যাসের দাম কমিয়েছে কেন্দ্র। এবার বছরের শেষ দিকে চালের দাম কমানোর সিন্ধান্ত নিল মোদী সরকার। যার ফলে আগামী দিনে চালের দাম অনেকটাই কমে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। চাল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে কী সিন্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র? আজকের প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন।
চালের দাম কমাতে কী সিন্ধান্ত নিল কেন্দ্র?
গত কয়েক বছরে ভারতের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার চালের দাম নিয়ে গত সোমবার ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া একটি বৈঠক জোরে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের সচিব সঞ্জীব চোপড়া। এদিনের বৈঠকে নন-বাসমতি চালের দাম কমানোর সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাসমতি চাল ছাড়া সকল প্রকার চালের দাম কমবে।
দেশে চাল মজুদ থাকলেও, দাম গগনচুম্বী
ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার রাইস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনকে চালের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর-র মাধ্যম একটি বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। এদিকে এ বছর খারিফ শস্যও ভালো ফলেছে। ফলে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে প্রচুর পরিমানে চাল মজুদ রয়েছে। তাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে কোনো ভাবেই চালের দাম যেন বাড়া না থাকে। সেই কারণেই চালের দাম কমাতে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার।
মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র
চালের দাম যাতে ভারতের বাজারে কম থাকে বা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে সে জন্য গত জুলাই মাসের বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র সরকার। রপ্তানিরর উপর বাড়ানো হয় শুল্ক। তার সত্ত্বেও ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি হয়েই যাচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বা মুনাফাখোর। এবার চালের দাম কমাতে মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়েছে কেন্দ্র। চালের দাম না কমলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছরের চালের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ফলে হু হু করে দাম বেড়েছে চালের। যদিও ভারতে চালের মজুদ রয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমের মাধ্যমে যা চাল ২৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেই চাল খুচরো বাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই এবার চালের দাম কমাতে তৎপর কেন্দ্র। দাম কমলে প্রতি কেজি চাল ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে কেনা যাবে। বছর শেষে মোদী সরকারের এমন পদক্ষেপে খুশি দেশবাসী।
অবশ্যই পড়ুন » Children’s Fund: সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে বিনিয়োগ করুন এই ফান্ডে, সন্তানের বিবাহ ও পড়াশোনার খরচের চিন্তা শেষ।
নিত্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাস
দিনের পর দিন দ্বিতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আগুনের মত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাথায় হাত। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ভারতের inflation এবং CPI রেট 5.4%। অর্থাৎ প্রত্যেক বছর কোন দ্রব্যের মূল্য 5.4 শতাংশ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে কেন্দ্র সরকার চাইছে inflation রেট কমাতে তাইতো কেন্দ্র সরকার এখন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছেন এবং চালের দাম কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
অবশ্যই পড়ুন » রাজ্যের কৃষকরা পাবে ২ লক্ষ টাকা! দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে সরাসরি আবেদন করুন।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇