শেয়ার বাজার মিউচুয়াল ফান্ড পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাঙ্ক স্কিম ক্রেডিট কার্ড ডিমেট অ্যাকাউন্ট ইন্সুরেন্স FD ক্যালকুলেটর

ITR File: আর করতে হবেনা আয়কর ফাইল! ইনকাম ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন প্রবীণ নাগরিকরা

Photo of author

By Anjan Mahata

গ্রুপে যুক্ত হনচ্যানেলে যুক্ত হন

ভারতীয় আয়কর ব্যবস্থার নিয়ম অনুসারে একটি নির্দিষ্ট আয়ের সীমা অতিক্রম করলে সাধারণ মানুষকে তার আয়ের জন্য আয়কর দপ্তর এর কাছে কর জমা করতে হয়। ২০২১-২২ অর্থ বর্ষ থেকে আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে একটি নতুন নিয়ম জারি করে বলা হয়েছিল দেশের বিশেষ কিছু প্রবীণ নাগরিকরা ইনকাম ট্যাক্স ফাইল না করলেও চলবে। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো বিশেষ এই প্রবীর নাগরিক কারা? তারা ইনকাম ট্যাক্স ফাইল না করলে কোন সমস্যা হবে কিনা।

ভারতীয় আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে আয়কর প্রদানের একটি বিশেষ সীমা নির্ধারণ করা আছে। শুধুমাত্র প্রবীন নাগরিকরাই নন, দেশের যেকোনো সাধারণ মানুষের আয় যদি সেই নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম না করে সে ক্ষেত্রে তাকে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে হয় না। পুরনো আয়কর নীতি অনুসারে দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য এই সীমাটি রয়েছে ২৫০০০০ লক্ষ টাকা এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অর্থাৎ ৬০-৮০ বছর বয়সী দের জন্য রয়েছে ৩০০০০০ টাকা এবং ৮০ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের জন্য ৫০০০০০ টাকা। অর্থাৎ এই নির্দিষ্ট সীমার নিচে যাদের আয় রয়েছে, তাদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল না করলেও কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

প্রবীন নাগরিকদের জন্য আয়কর ফাইল ছাড়

ভারতীয় আয়কর আইনের বিশেষ একটি ধারা অনুসারে নির্দিষ্ট কিছু প্রবীন নাগরিকদের জন্য আয়কর ফাইল করার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার সীমা রয়েছে। সেগুলি হল-

  • সেই প্রবীন নাগরিকের বয়স অবশ্যই ৭৫ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
  • সেই প্রবীণ নাগরিককে অবশ্যই ভারতের বাসিন্দা হতে হবে।
  • তার দুটি রোজগার থাকতে পারে। প্রথমটি হল পেনশন এবং দ্বিতীয়টি হল সুদের টাকা থেকে রোজগার। তবে এই দুটির বাইরে যদি প্রবীণ নাগরিকের অন্য কোন রোজগার থাকে তবে এই ছাড় তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।
  • প্রবীণ নাগরিককে এই ছাড়ের সুবিধা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে একটি ডিক্লারেশন জমা দিতে হবে।

যে ডিক্লারেশন জমা দিতে হবে

প্রবীণ নাগরিকদের এই সুবিধা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে ফর্ম 12BBA এর মাধ্যমে ডিক্লারেশন জমা দিতে হবে। এই ফর্মটির মাধ্যমে ব্যাংককে জানাতে হবে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর, প্যান নম্বর, পেনশন অর্ডার নম্বর ইত্যাদি। এই ফোনটি জমা দেওয়ার পর ব্যাংককে জানাতে হবে আপনার আয় সম্পর্কিত কোন ডিডাকশন আছে কিনা। এই সমস্ত তথ্য জানার পর ব্যাংক নিজে থেকেই টিডিএস কেটে নেবে এবং তা সরকারের কাছে জমা দেবে। ফলে প্রবীণ নাগরিককে আলাদা ভাবে কোন ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে হবে না।

আরও পড়ুন: New vs old Tax Regime – পুরনো নাকি নতুন আয়কর কাঠামো কোনটিতে বেশি লাভবান হবেন! বিস্তারিত জেনে নিন।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যদি কোন কারণে টিডিএস কাটতে রাজি না হয় সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে হবে। ব্যাংক যদি পরিমাণের থেকে বেশি টিডিএস কাটে সেক্ষেত্রেও গ্রাহককে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করে ব্যালেন্স ট্র্যাক জমা করতে হবে অথবা বেশি টিডিএস কাটার জন্য গ্রাহককেই রিফান্ডের জন্য ক্লেম করতে হবে। তবে এই নিয়মগুলো শুধুমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য যাদের বয়স ৭৫ বছরের উর্ধ্বে এবং আয় তিন লাখ টাকার উপর। ৭৫ বছরের নিচের কোন ব্যক্তির জন্য এই ডিক্লারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার নিয়মটি প্রযোজ্য নয়।

আরও পড়ুন: PF Tax Rules – PF একাউন্টের টাকা তোলার সময় দিতে হবে ট্যাক্স! কোন পরিস্থিতিতে দিতে হবে জেনে নিন।

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন 👇

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Usএর
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলFollow Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
Google নিউজে ফলো করুনFollow Us