শেয়ার বাজার মিউচুয়াল ফান্ড পোস্ট অফিস স্কিম ব্যাঙ্ক স্কিম ক্রেডিট কার্ড ডিমেট অ্যাকাউন্ট ইন্সুরেন্স FD ক্যালকুলেটর

EPFO Pension: অবসরের পর আপনাকে কত টাকা পেনশন দেবে EPFO? মিলিয়ে নিন সঠিক হিসাব।

Updated on:

চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত হন সাধারণ কর্মজীবী মানুষ। তবে সরকারি ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন, তাদের অবসরের পর সরকার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশনের টাকা দেওয়া হয়। বেসরকারি কর্মীদের পেনশনের সুবিধা না থাকলেও ইপিএফও-র তরফ থেকে তারা আর্থিক সুবিধা লাভ করেন। যে বিশেষ স্কিমের মাধ্যমে বেসরকারি কর্মীদের এই পেনশনের সুবিধা দেয় EPFO, তার নাম কর্মচারী পেনশন স্কিম বা ইপিএস।

EPFO থেকে কিভাবে পেনশনের টাকা পান বেসরকারী কর্মীরা?

বেসরকারি সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের অবসরের পর পেনশনের ব্যবস্থা করে EPFO। কর্মীদের সমগ্র কর্মজীবনে প্রতি মাসে বেসিক এবং ডিএ এর ১২ শতাংশ ইপিএফে জমা করা হয়। এই সম পরিমাণ টাকা আবার জমা করা হয় নিয়োগকারী সংস্থার তরফ থেকেও। যদিও এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির শেয়ার দুইভাগে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ টাকা যায় ইপিএফ স্কিমে এবং ৩.৬৭ শতাংশ টাকা জমা হয় ইপিএফে। ন্যূনতম ১০ বছর এই ভাবে বিনিয়োগ পদ্ধতি চলতে থাকলে EPFO থেকে পেনশন পেতে শুরু করেন কর্মীরা। কর্মীদের সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য পরিষেবা হয় ৩৫ বছর।

কিভাবে বুঝবেন অবসরের পর কত টাকা পাবেন?

কোনো কর্মী অবসর গ্রহণ করার পর EPFO থেকে পেনশন হিসাবে কত টাকা পাবেন তা গণনার একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা রয়েছে। সেই ফর্মুলাটি হল ইপিএস = গড় বেতন x পেনশনযোগ্য পরিষেবা/৭০। এই হিসাবে গড় বেতন মানে মূল বেতন এবং ডিএ, যা বিগত ১২ মাসের ভিত্তিতে গণনা করা হয়। এক্ষেত্রে কর্মীদের সর্বোচ্চ পেনশন যোগ্য পরিষেবার সময়সীমা হলো ৩৫ বছর। এই পেনশন যোগ্য বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

অবশ্যই পড়ুন » EPFO একাউন্ট থাকলে পেয়ে যাবেন ৭ টি পেনশন সুবিধা! জেনে নিন পেনশন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি।

এই হিসাবে যদি গণনা করা হয় সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে পেনশনের সর্বাধিক পরিমাণ হবে ১৫০০০x৮.৩৩/৭০ অর্থাৎ ১২৫০ টাকা। কর্মীর সর্বোচ্চ অবদান এবং সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য পরিষেবার উপর ভিত্তি করে যদি ইপিএস পেনশন গণনা করা হয় সেক্ষেত্রে দেখা যাবে ইপিএস = ১৫০০০x৩৫/৭০। অর্থাৎ প্রতি মাসে এই পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৫০০ টাকা। এই ভাবে হিসাব করলে দেখা যায় ইপিএফে সর্বোচ্চ পেনশনের পরিমাণ ৭৫০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন পেনশন ১০০০ টাকা। এই ফর্মুলার মাধ্যমেই যে কোনো কর্মী খুব সহজেই নিজের পেনশন গণনা করতে পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে ইপিএসের এই ফর্মুলা কেবলমাত্র ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বরের পর সংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের জন্যই প্রযোজ্য। এর পূর্ববর্তী সময়ের কর্মচারীদের জন্য আলাদা নিয়ম কার্যকর রয়েছে।

কত বছর বয়স থেকে পেনশন পাবেন কর্মীরা?

ইপিএস এর নিয়ম অনুসারে একজন কর্মী তার ৫৮ বছর বয়স থেকে এই পেনশন তুলতে পারেন। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কর্মী চাইলে এই সময়ের আগেও পেনশন তোলা সম্ভব হয়। এর জন্য যে বিশেষ প্ল্যানটি রয়েছে তার নাম ‘আর্লি পেনশন’ প্ল্যান। এই প্ল্যানের মাধ্যমে ৫০ বছর বয়সের পর পেনশন তুলে নেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পেনশনের পরিমাণ ৪ শতাংশ কমে যায়।

অর্থাৎ কোনো কর্মী ৫৬ বছর বয়সে মাসিক পেনশন তুলতে শুরু করলে তিনি মূল পেনশনের ৯২ শতাংশ পাবেন। তবে কোনো কর্মী ৫০ বছর বয়সে পেনশন নিলে তিনি পেনশনের পরিমাণের চেয়ে ৪ শতাংশ কম অর্থ পাবেন।

অবশ্যই পড়ুন » NPS Pension: অবসর জীবনে প্রতি মাসে মিলবে ৫০ হাজার টাকা পেনশন! কিভাবে পাবেন জেনে নিন। ‌

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপJoin Us
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলFollow Us
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলJoin Us
আমাদের ফেসবুক পেজFollow Us
Google নিউজে ফলো করুনFollow Us

নমস্কার আমি Anjan Mahata! অর্থনীতি, শেয়ার মার্কেট, মিচুয়াল ফান্ড এবং টাকা বিনিয়োগ ও সঞ্চয় সম্পর্কে আমার সমস্ত জ্ঞান প্রতিবেদনের মাধ্যমে লিখে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার মূল্য উদ্দেশ্য।