Cheque Bounce Rules: ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমানে মানুষ ডিজিটাল বা ইউপিআই লেনদেনে মানুষ অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন। তবে ডিজিটাল লেনদেনের পাশাপাশি অধিক পরিমান আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আজও ব্যবহৃত হয় চেক। ব্যবসায়িক বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের ক্ষেত্রেও চেকের গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে চেক ব্যবহার করতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম কানুন অবশ্যই পালন করতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে না চললে সামান্য ভুলের কারণে চেক বাউন্স হয়ে যেতে পারে। আর কোন কারনে যদি চেক বাউন্স হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের তরফ থেকে গ্রাহকের উপর জরিমানা বা ফাইন ধার্য করা হয়। চেক বাউন্স এর কারণের উপর ভিত্তি করে গ্রাহকের উপর এই জরিমানার অংক নির্ধারণ করে ব্যাঙ্ক। শুধু তাই নয় চেক বাউন্স এর জন্য কোনো ব্যক্তিকে জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে। জেনে নিন কি কি কারণে চেক বাউন্স হয় এবং এর ফলে কি শাস্তি পেতে হয়।
চেক বাউন্সের কারণ
- চেকে গ্রাহকের সই বা স্বাক্ষর না থাকলে চেক বাউন্স হতে পারে।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকলে অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ টাকা তোলার কথা লেখা হয়েছে সেই পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে না থাকলে চেক বাউন্স হয়ে যায়।
- চেকের ক্ষেত্রে ওভাররাইট করা হলে বা চেকের উপর জড়িয়ে থাকা কোনো লেখা থাকলে বা চেকে বারবার লিখলে সেই চেক বাতিল হতে পারে।
- যে কোনো চেকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। সেই সময় অতিক্রম হওয়ার পর তা ব্যাঙ্কে জমা দিলে সেই চেক বাউন্স হয়ে যায়।
চেক বাউন্সে শাস্তির পরিমাণ
চেক বাউন্সের ঘটনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের ভিন্নতার কারণে শাস্তির পরিমাণও ভিন্ন হতে পারে। তবে মোটামুটি সব ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য নিম্নোক্ত শাস্তি গুলি বরাদ্দ থাকে।
- গ্রাহকের চেক বাউন্স হলে তার কারণে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হয়।
- অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকলে চেকের গ্রাহকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর জন্য প্রথমে আইনজীবির একটি নোটিশ পাঠানো হয়। ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহক যদি সেই নোটিসের উত্তর না দেন সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং গ্রাহকের দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇