Bharat Atta: দিনের পর দিন খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ খুব চিন্তায় রয়েছে। সাধারণ মানুষের চিন্তা কিছুটা কমানোর জন্য সরকার ‘ভারত আটা’ সারা দেশে উপলব্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা অনেক পরিবারের জন্য একটি চাপের বিষয়। ‘ভারত আটা’ হলো সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ নাগরিকদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর সরবরাহ বাড়িয়ে তোলার একটি বড়ো সরকারি কৌশলের অংশ।
ভারত আটার মূল্য
‘ভারত আটা’ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা লঞ্চ করা হয়েছে। গত ৬ এই নভেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আটা সরবরাহকারী যানবাহন (মোবাইল ভ্যান) পতাকাঙ্কিত করেছেন। এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনার অধীনে, সরকার প্রতি কেজি ২৭.৫০ টাকা ভর্তুকি মূল্যে সারা দেশে ‘ভারত আটা’ উপলব্ধ করবে।
‘ভারত আটা’ উদ্যোগের মূল হাইলাইট
- ‘Bharat Atta’ ১০ কেজি এবং ৩০ কেজির প্যাকে পাওয়া যাবে, এটি পৃথক পরিবার এবং পাইকারি ক্রেতা উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক করে তুলবে।
- ভর্তুকিযুক্ত আটা সারাদেশে ২ হাজারটি আউটলেটের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে, যাতে বিস্তৃত ভোক্তাদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্যতা নিশ্চিত করা হয়।
- NAFED, NCCF, Safal, এবং Mother Dairy-এর মতো বিশিষ্ট সমবায়ের সাথে অংশীদারিত্ব করে দক্ষ বিতরণ এবং পৌঁছানো নিশ্চিত করবে সরকার।
- ভারত আটা দিনের পর দিন বেড়ে যাওয়া গমের মূল্যের সঙ্গে সরাসরি প্রতিক্রিয়া করবে। সরকার গ্রাহকদের উপর বোঝা কমানোর জন্যই এটি লঞ্চ করেছে।
এর সঙ্গে অতিরিক্ত পদক্ষেপ
ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ: পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবেলার জন্য, সরকার NCCF এবং NAFED আউটলেটের মাধ্যমে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
ভারত ডালের: প্রোটিন গ্রহণের জন্য একটি সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প প্রদান করতে সরকার ৬০ টাকা কেজি দরে ভারত ডাল (ছোলার ডাল) সরবরাহ করছে।
‘ভারত আটা’-এর প্রভাব
এই পরিকল্পনার ফলে অনেক পরিবারের খাদ্য কেনার খরচ কমবে। নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর লোক, যাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীও সব সময় থাকেনা, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া দিন দিন বাজারে যে হারে খাদ্যের দাম বেড়ে চলছে, তা কমার সম্ভাবনা থাকবে, ফলে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
উপসংহার ~
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত আটা’ এবং পেঁয়াজ প্রদানের উদ্যোগগুলি গ্রাহকদের স্বস্তি প্রদান এবং সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। ‘ভারত আটা’ স্কিমটি নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ এটি তাদের মাসিক খাদ্য খরচে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আনবে।
*এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇