Average retail inflation rises to highest in 4 months: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একদিকে যেমন বেকারত্বের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার একটি সমীক্ষার মারফত এই ধরনের একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয় উপভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআইয়ের রিপোর্ট। এই রিপোর্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে জুলাই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছে ৫.০৮ শতাংশ। গত চার মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে এই খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ বলে জানা যাচ্ছে। চলতি বছর মে মাসে এই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪.৮ শতাংশ। এছাড়া ২০২৩ সালের জুন মাসের সিপিআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে এই মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি
চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল লোকসভা নির্বাচন কর্মসূচি। লোকসভা নির্বাচনের পর্ব মিটিয়ে ৪ জুন প্রকাশিত হওয়া ফলাফল অনুসারে পুনরায় ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী এবং গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। নবগঠিত কেন্দ্রীয় সরকারের এখন প্রধান চিন্তার বিষয় হয়েছে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্য সহ খাদ্য সামগ্রীর আগুন দামে সাধারণ মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস অবস্থা। হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধির তীব্রতায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
কত শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে গত মে মাসের তুলনায় জুন মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ বর্তমানে হয়েছে ৯.৩৬ শতাংশ। গত মে মাসে এই পরিমাণটি ছিল ৮.৬৯ শতাংশ। এই মূল্য বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সবজির উপর। সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গেছে একমাসে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ২৯.৩২ শতাংশ।
আরোও পড়ুন » পেট্রোল পাম্পে এই ভুল কখনোই করবেন না! ছোট ভুলের কারণেই হতে পারে বড় ক্ষতি।
দাম বৃদ্ধির দিক থেকে পিছিয়ে নেই ডাল জাতীয় পণ্যগুলিও। মাত্র এক মাসের মধ্যে ডাল জাতীয় দ্রব্য গুলির দাম বেড়েছে ১৬.০৭ শতাংশ। দানাশস্য ও ফল কিনতেও নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই সময় অত্যধিক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে এই জিনিস গুলিকে। তবে শিল্পবৃদ্ধির দিক থেকে সামান্য স্বস্তি পেয়েছে সরকার। গত মে মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা যাচ্ছে সারা দেশে শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫.৯ শতাংশ। শিল্প উৎপাদন সূচক বা আইআইপি অনুসারে জানা যাচ্ছে মূলত শক্তি ও খনি শিল্প ক্ষেত্রেই এই উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে দেশে শিল্প বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৫.৭ শতাংশ। চলতি বছর মে মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে খনিতে ৬.৬ শতাংশ এবং শক্তিক্ষেত্রে ১৩.৭ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনি যদি প্রতিদিনের শাকসবজি, চাল, ডাল এর সরকারি দাম জানতে চান তাহলে আপনাকে , ministry of consumer affairs এর রিপোর্ট চেক করতে হবে এর রিপোর্ট চেক করার ডাইরেক্ট লিংক হল » https://fcainfoweb.nic.in/reports/report_menu_web.aspx
অবশ্যই পড়ুন » Inflation Calculation: ভবিষ্যতে ১০ লক্ষ টাকার কোন মূল্যই থাকবে না! কমে যাবে আপনার টাকার ভ্যালু।
উৎপাদন হ্রাস
তবে সরকারের দুশ্চিন্তা ক্রমাগত বাড়ছে উৎপাদন ক্ষেত্রকে নিয়ে। বিগত এক বছরের মধ্যে উৎপাদন ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে উৎপাদনের হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর মে মাসে দেশে উৎপাদনের হার এসে পৌঁছায় ৪.৬ শতাংশতে। ফলে সবজি থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য গুলির মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে উৎপাদনের পরিসংখ্যান হ্রাস হওয়াকেই দায়ী করছে সরকার।
এই ধরনের অর্থ ও টাকা-পয়সা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇