Reserve Bank of India Statement on Inflation: আমাদের দেশে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ মধ্যবিত্ত মানুষদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। আজ অর্থাৎ সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করা তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে দেশে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসে বর্ধিত পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ হয়েছে ০.৫৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এই মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ০.২৭ শতাংশ। ক্রমাগত এই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি প্রভাব ফেলছে মধ্যবিত্তের পকেটে।
পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ
ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে চলছে বছর মার্চ মাসে আমাদের দেশে বিভিন্ন মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মাসে আলু পেঁয়াজের দাম বিপুল হারা বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে মধ্যবিত্তরা খুব চিন্তিত রয়েছে। মার্চ মাসে এদেশে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম এর পাশাপাশি খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি, অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি সমস্ত কিছুর মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি সূত্র অনুসারে জানা যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রীর হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ শতাংশ, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার হয়েছে ১.৩৫ শতাংশ, বিভিন্ন খনিজ পদার্থের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ০.৫৮ শতাংশ।
যে যে জিনিসের মুদ্রাস্ফীতি কমেছে
সরকারি হিসাব অনুসারে জানা যাচ্ছে চলতি বছর মার্চ মাসে কয়লার ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। কয়লার মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কমেছে প্রায় ০.১৫ শতাংশ। এছাড়াও সরকারি রিপোর্ট অনুসারে মেশিনারি ও ইকুইপমেন্ট, মেডিসিনাল কেমিক্যাল, বেস মেটাল, ফার্মাসিউটিক্যালস, বোটানিক্যাল প্রোডাক্টস, টেক্সটাইল ইফতারের দাম কমেছে।
অবশ্যই পড়ুন » BLDC Fan: গরমকালে ৩গুণ বিদ্যুৎ বিল কমাবে এই ফ্যানগুলি, আধুনিক প্রযুক্তির এই ফ্যানে বিদ্যুৎ খরচ একেবারেই সীমিত
খুচরো মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান হার
বর্তমানে আমাদের দেশে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার আগে থেকে কমেছে। মার্চ মাসের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। মার্চ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৪.৮৫ শতাংশ। সিপিআই ভিত্তিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫.০৯ শতাংশ। সরকারি তথ্য মারফত জানা যাচ্ছে ২০২৩ সালের জুন মাসের পর থেকে এই মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ হ্রাস হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বক্তব্য
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া চলতি অর্থ বর্ষের মানিটারি পলিসি কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত গুলি ঘোষণা করার সময় মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে চার শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বলতে আসলে খুচরো মুদ্রাস্ফীতিকেই বোঝায়। খুচরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেই আরবিআই এর তরফ থেকে রেপো রেট কমানো হতে পারে। আগে রেপো রেট কমলে স্বাভাবিক ভাবেই মধ্যবিত্তের অনেক সুবিধা হবে।
অবশ্যই পড়ুন » SBI WhatsApp Banking: ব্যাংকের তথ্য এবার জানতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপেই। গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা করল SBI।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন 👇