পিএফ-এ অ্যাকাউন্টধারী চাকুরীজীবিদের জন্য বড় খবর। পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার নিয়মে এবারে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোরনার জন্য পিএফ থেকে যে অগ্রিম টাকা তোলা যেত তা বন্ধ করতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। এ বিষয়ে কি জানা যাচ্ছে সংস্থার পক্ষ থেকে? কেন বন্ধ করা হচ্ছে পিএফ এর এই পরিষেবা? চলুন এই প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
করোনা মহামারীর সময়ে যখন মানুষের হাতে টাকা ছিল না, সে সময় ইপিএফও পিএফ গ্রাহকদের জন্য অগ্রিম টাকা তোলার বিশেষ সুবিধা চালু করেছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এমনটা ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে করোনার কারণ দেখিয়ে পিএফ থেকে টাকা তুলতে পারছিলেন চাকুরীজীবিরা। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এবারে এই সুবিধেস বন্ধ করে দিয়েছে ইপিএফও। অর্থাৎ এবারে থেকে করোনার কারণ দেখিয়ে আর পিএফ থেকে টাকা তোলা যাবে না।
কেন হটাৎ করে এই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে চলেছে ইপিএফও?
এর উত্তরে বলা যায়, বিশ্ব ব্যাপী করোনার প্রভাব কমে গিয়েছে। করোনা নিয়ে যে ভয় তাও আর নেই। কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, করোনার জরুরি অবস্থা শেষ হয়েছে। তাই করোনা নিয়ে যে সব প্রোটকল ছিল তা বাতিল করা যেতে পারে। WHO এর এই বিজ্ঞপ্তির পর করোনার সময়ে পিএফ এ চালু করা এই পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
ইপিএফও।
এই পরিষেবার মাধ্যমে কী সুবিধা পেত পিএফ গ্রাহকরা?
পিএফ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একবারই টাকা তোলা যেত। তাও তিন মাসের বেতনের মোট টাকা কিংবা পিএফ এ জমা রাশির ৭৫ শতাংশের মধ্যে কম টাকা। যে কেউ এই টাকা তুলতে পারতেন না। অগ্রিম টাকা তোলার জন্য যথা সম্ভব কারণ দেখিয়ে তোবেই টাকা তোলা যায়। কিন্তু করোনার সময় এই পরিষেবা চালু করায় করোনার কারণ দেখিয়ে দুইবার অগ্রিম টাকা তুলতে পারতেন পিএফ অ্যাকাউন্টধারীরা। এই টাকা ফেরত দিতে হতো না অ্যাকাউন্টধারীদের। তবে করোনার জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ায় এই পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে ইউপিএফও। এর প্রভাব পড়বে ৭ কোটি গ্রাহকদের উপর। যদিও এ বিষয়ে এখনো অফিসিয়াল ভাবে কিছু জানায়নি ইপিএফও। তবে ইপিএফও-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কোভিড অ্যাডভান্স টাকা তোলার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রিপোর্ট অনুযায়ী গত তিন বছরে পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৮ হাজার কোটির বেশি টাকা তোলা হয়েছে। ৭ কোটির কাছাকাছি গ্রাহকদের মধ্যে ২.২ কোটি গ্রাহক এই স্কিমের সুবিধা নিয়েছে। বর্তমানে ইপিএফও-র ফান্ডে ২০ লক্ষ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। তবে এই পরিষেবা যদি এখনই না বন্ধ করা হয় তবে আগামীতে ইপিএফও-র তাহবিলে টান পড়বে, এমনটাই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অবশ্যই পড়ুন » PF অ্যাকাউন্ট থাকলেই করতে হবে এই কাজ, EPFO জারি করল নতুন নিয়ম
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇
Dater weading so pf fund relis