Money Making: টাকা থেকে কিভাবে টাকা বানাতে হয় এই বিষয়ে ধনী ব্যক্তিরা খুব ভালোভাবেই জানে। এই কারণেই ধনী ব্যক্তিরা আরো ধনী হয়ে ওঠে এবং গরিবেরা দিন দিন আরো গরীব হতে থাকে। তবে, এবার আপনিও টাকা থেক টাকা বানাতে পারবেন। কারন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এরকমই একটি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই পদ্ধতি মেনে চললে আপনার টাকা আপনার জন্য আরও টাকা এনে দেবে। এর জন্য আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না।
টাকা থেক টাকা বানানোর পদ্ধতি (Money Making Tips)
আপনি হয়তো একটি কথা শুনেছেন যে – “একজন ব্যক্তি টাকা আয় করে ধনী পারে না, যেদিন ওই ব্যক্তির টাকা তার জন্য আরও টাকা বানাবে সেদিন তিনি ধনী হবে।” টাকা থেকে টাকা বানানোর অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তবে আজ আমরা জানবো মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে কিভাবে আপনি টাকা থেকে টাকা বানাতে পারবেন।
কারণ, এতে আপনি কোনো কাজ না করেই বার্ষিক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রিটার্ন পেতে পারেন। Mutual Fund-এ SIP এর প্রতি মানুষের ঝুঁকি দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কারণ এতে বিনিয়োগকারীরা খুব সহজেই ১২ থেক ১৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে। আজ আমরা Mutual Fund-এ বিনিয়োগ করার এমন একটি সূত্র সম্পর্কে জানবো, যাতে আপনার টাকা আপনারা জন্য সুদ আয় করবে। এই সূত্র মেনে বিনিয়োগ করলে একজন ব্যাক্তি মাত্র ১৫ বছরেই কোটিপতি হতে পারেন।
আরও পড়ুন: SIP কি? সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এস আই পি কি?), সম্পূর্ণ সহজ সরল ভাষায় বুঝুন।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সূত্র
আজ আমরা মিউচুয়াল ফান্ডের SIP করার ১৫x১৫x১৫ সূত্র সম্পর্কে জানবো। এতে আপনাকে বার্ষিক ১৫ শতাংশ রিটার্ন পাওয়ার জন্য প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা করে ১৫ বছর মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। এই সূত্র অনুযায়ী আপনি যদি Mutual Fund-এ বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১৫ বছরে মোট ২৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হবে। যদি আপনি বার্ষিক ১৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়ে থাকেন, তাহলে সুদের পরিমাণ হবে প্রায় ৭৪.৫৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ আপনি ১৫ বছর পর ১.০১ কোটি টাকার মালিক হবে। আর যদি ১৫ শতাংশ রিটার্নের জায়গায় ১২ শতাংশ রিটার্ন পান, তাহলে কোটিপতি হতে ১৭ বছর সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন? (How to invest in mutual funds bengali)
এই সূত্র মেনে আপনি যদি ২৫ বছর বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে ৪০ বছর বয়সেই কোটিপতি হতে পারেন। একই ভাবে ৩০ বছর বয়সে শুরু করলে ৪৫ বছর বয়সে, ৩৫ বছর বয়সী ব্যাক্তিরা ৫০ বছরে বয়সে এবং ৪০ বছর বয়সী ব্যাক্তিরা ৫৫ বছর বয়সে কোটিপতি হতে পারেন। তবে, বিনিয়োগ করার আগে খেয়াল রাখবেন এতে যেমন বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়, তেমনি ঝুঁকির সম্ভবনাও বেশি থাকে। আপনি খারাপ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে কোটিপতি হবার জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হতেও পারেন।
এই ধরনের রোজগার সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇