Retirement Planning 30-30-30-10 Rules: আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য অবসরকালীন সময় অতিবাহিত করার জন্য আগে থেকেই ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং করে রাখতে হবে এবং নিয়ম মেনে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। কিন্তু হাতে টাকা আসার পর আমরা ফিন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং করতে ভুলে যাই, তবে আপনি যদি আজকের এই ফর্মুলা মেনে অর্থ সঞ্চয় করেন তাহলে আপনার অবসরকালীন জীবন সুখের হবে। আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে অবসরকালীন অর্থ সঞ্চয়ের ৩০-৩০-৩০-১০ সূত্র সম্পর্কে।
অবসরকালীন অর্থ সঞ্চয়ের ৩০-৩০-৩০-১০ সূত্র
৩০-৩০-৩০-১০ সূত্র আপনাকে প্রতিমাসেই আপনার ইনকামের টাকার খরচ এবং সঞ্চয়ের বাজেটে নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। আপনার প্রতি মাসের আয়কে ১০০ শতাংশ ধরে এই সূত্রটি প্রণয়ন করা হবে। এক্ষেত্রে আপনার মাসিক আয়কে নিম্নলিখিত উপায়ে বিভক্ত করতে হবে।
অবশ্যই পড়ুন » Mutual Funds: TATA কোম্পানির এই ফান্ডে মাসে ৭৯০ টাকা বিনিয়োগ করে হবেন লাখপতি
- আপনার আয়ের প্রাথমিক ৩০ শতাংশ অংশ আপনার বাড়ি ভাড়া অর্থাৎ বাসস্থানের উপর খরচ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজেদের বাড়িতে থাকেন তাহলে ওই টাকা বাড়ি নির্মাণ অথবা বাড়ি সারাই এর কাজে ব্যবহার করুন।
- এরপর আপনারা এর বাকি ৩০ শতাংশ অংশ আপনি জীবন যাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে সংসার চালানোর খরচ সন্তানের ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
- এরপর বাকি ৩০% অর্থ অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখুন।
- এছাড়াও বাকি ১০% আপনি বিনোদনের জন্য খরচ করতে পারেন। অর্থাৎ সিনেমা দেখা ঘুরতে যাওয়া এসব জায়গায় খরচ করতে পারেন।
উদাহরণের মাধ্যমে বুঝে নিন ৩০-৩০-৩০-১০ সূত্র
ধরে নিন আপনার প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিক ৩০ শতাংশ অর্থ অর্থাৎ মাসিক ১৫ হাজার টাকা আপনার বাসস্থানের খরচ বাবদ খরচা করুন। এরপর বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকা সংসার চালানোর জন্য ব্যয় করুন। এরপর আরোও যে ৩০% অর্থ বা ১৫ হাজার টাকা রয়েছে সেটি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করুন। এরপর অবশিষ্ট ১০% টাকা অর্থাৎ ৫ হাজার টাকা বিনোদনের জন্য খরচ করতে পারেন বা এই টাকাটিকে আপনি সংসার খরচ চালানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন।
অবশ্যই পড়ুন » Rule Of 144: টাকা চার গুণ করার সূত্র! দেখে নিন আপনার জমানো টাকা কতদিন পর চার গুণ হবে।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇