Mutual Funds: ব্যাংকে টাকা জমানোর চেয়ে মিউচুয়াল ফান্ডে যে বহুগুণ বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়, এটি মানুষ বুঝে গেছে। যার কারণে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খালি করে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছে। বেশি রিটার্ন পাওয়ার আশায় লোকটা ঝুঁকির ব্যাপারে আর ভাবছে না। তবে আপনিও যদি মিউচুয়াল ফান্ডে ১২,০০০ টাকা করে জমা করেন, তাহলে কোটিপতি হতে কতো লাগবে? আসুন আজ এই নিয়ে একটু হিসেব নিকেশ করে দেখি।
১২,০০০ টাকা করে জমা করলে কোটিপতি হতে কতো সময় লাগবে?
Mutual Fund-এ বিনিয়োগ করলে আপনার কোটিপতি হতে কতো সময় লাগবে, এটি নির্ভর করে ওই মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্নের উপর। আপনি বেশি রিটার্ন পেলে শীঘ্রই কোটিপতি হতে পারবেন এবং কম রিটার্ন পেলে কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগবে, এটি স্বাভাবিক। তবে এখানে বেশি রিটার্ন এর ক্ষেত্রে ঝুঁকির ভয়ও বেশি। অতীতে দেখা গেছে একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘ্য মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করলে, খুব সহজেই ১২ থেকে ১৫ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। আপনিও যদি এই পরিমাণ রিটার্ন পান এবং SIP এর মাধ্যমে প্রতিমাসে ১২,০০০ টাকা জমা করেন, তাহলে কোটিপতি হতে কতো সময় লাগবে? এই বিষয়ে নিচে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mutual Fund – মিউচুয়াল ফান্ডে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে কতো রিটার্ন পাবেন দেখুন।
১২% থেকে ১৫% রিটার্ন পেলে কোটিপতি হতে কতো সময় লাগবে?
এপনি যদি এমন একটি মিউচুয়াল ফান্ডে মাসে ১২,০০০ টাকার SIP করেন যেখানে বার্ষিক ১৫% এর গড় রেটিং পাবেন, তাহলে কোটিপতি হতে আপনার ১৬ থেকে ১৭ বছর সময় লাগবে। আপনি যদি মাসে ১২,০০০ টাকার SIP ১৭ বছর পর্যন্ত চালান, তাহলে আপনার বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ হবে ২৪.৪৮ লক্ষ টাকা। বার্ষিক ১৫% রিটার্ন অনুযায়ী ওই টাকার উপর সুদ পাবেন প্রায় ৮৮.৩৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ আপনি ১৭ বছর পর প্রায় ১.১৩ কোটি টাকার মালিক হবেন।
একই জায়গায় আপনি যদি ১৫% এর জায়গায় ১২% রিটার্ন পান, তাহলে কোটিপতি হতে আপনার ১৯ বছর সময় লেগে যাবে। এক্ষেত্রে ১৯ বছরে আপনার জমা করা অর্থের পরিমাণ হবে মোট ২৭.৩৬ লক্ষ টাকা। বার্ষিক ১২% রিটার্ন অনুযায়ী এই টাকার উপর সুদ পাবেন প্রায় ৭৭.৬৮ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ১৯ বছর পর আপনি প্রায় ১.০৫ কোটি টাকা হাতে পাবেন।
আরও পড়ুন: কম সময়ে টাকা ডবল করতে চান? SBI-এর এই সেরা ৫টি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম সম্পর্কে জানুন
এছাড়াও মনে রাখবেন মিউচুয়াল ফান্ড থেকে পাওয়া রিটার্ন মূলধন লাভের আওতায় আসে। অর্থাৎ মিউচুয়াল ফান্ড থেকে পাওয়া লাভের উপর আপনাকে টেক্স দিতে হবে। আবার মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যে ঝুঁকিপূর্ণ এটি ভুলবেন না। বিনিয়োগ করার আগে ভালোভাবে গবেষণা করবেন এবং নিজের ব্যাক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টার কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇