Gas Subsidy: একে তো গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকির টাকার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার উপর আবার অনেকেই ওই টাকাও পাচ্ছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া। কি জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে? এবং এটি কিভাবে ঠিক করতে হবে? এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই প্রতিবেদনে।
গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকির টাকা (Gas Subsidy) পাচ্ছে না অনেকেই!
একদিকে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আকাশ ছোঁয়া, আর অপরদিকে নাম মাত্র ভর্তুকি (Gas Subsidy) দিচ্ছে সরকার। বর্তমানে কলকাতা এবং শহরগুলিতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৮২৯ টাকা। যেখানে প্রতি সিলিন্ডারে ভর্তুকি পান ১৯.৫৭ টাকা। আবার কিছু কিছু জেলায় এর পরিমাণ ৪ টাকা বা ১০ টাকা। এই সামান্য পরিমাণ ভর্তুকির টাকাও কিছু লোক পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। কিছু লোক আবার ভর্তুকির টাকার পরিমাণ কম হবার কারণে, এই টাকা ব্যাঙ্ক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসছে কিনা তাও খবর রাখে না।
গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকির (Gas Subsidy) টাকা না পাওয়ার কারণ
নানা কারণে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে কিছু লোক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকির টাকা (Gas Subsidy) পাচ্ছে না। জানা গেছে গত ১ বছর ধরে যে সমস্ত গ্রাহকেরা ভর্তুকি পাচ্ছে না, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক তাদের বিস্তারিত তালিকা তেল সংস্থাগুলির হাতে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই তথ্য গ্যাস সংস্থাগুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর বা বিক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন » শীঘ্রই বাড়তে পারে রূপার দাম! আগামী ১২-১৫ মাসে ১.২৫ লক্ষ টাকায় পৌঁছানোর অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে ভর্তুকি না পাওয়া গ্রাহকদের তালিকা নিয়মিত তেল সংস্থাদের কাছে আসে বলে জানিয়েছেন ভারত গ্যাস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুকোমল সেন। এই তথ্য তালিকা অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন সাইবার অপরাধের সমস্যার কারণেও অনেকের নাম বাদ চলে যাচ্ছে।
এছাড়াও ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, ভর্তুকি না পাওয়া গ্রাহকদের সংখ্যা হঠাৎ করে বাড়েনি, এটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। সমস্ত গ্রাহকরা ঠিকঠাক ভর্তুকি পাচ্ছে কিনা তা জানার জন্য ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়।
এটি ঠিক করার উপায়
আপনি যদি আগে ভর্তুকির টাকা পেতেন এবং বর্তমানে আর পাচ্ছেন না, তাহলে আপনাকে আপনার গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আপনারও যদি কোনো কারণে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তাহলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে KYC সম্পর্কিত নথিপত্র জমা করতে হবে। যেমন ধরুন আপনার নাম-ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক তথ্য।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 👇